
		তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ ও মেয়াদ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়াসহ সংবিধান সংস্কারে বেশকিছু মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনায় মীমাংসা হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। তবে, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একমত তারা। সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। সংস্কার সুপারিশগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিত কিছু বিষয়ে জনগণের মতামত জানতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে জরিপ চালানো হবে বলেও জানান আলী রীয়াজ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য গড়তে মধ্য ফেব্র“য়ারি থেকে কাজ শুরু করে। এই তিন মাসে কমিশন ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বেশ কিছু দলের সাথে কয়েক দফায় বৈঠক হয় ঐকমত্য কমিশনের।
সোমবার (২৬ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ। তিনি জানান, দুদক ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের অধিকাংশ সুপারিশে একমত রাজনৈতিক দলগুলো। তিনি জানান নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহি ও ভোট জালিয়াতিতে যুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে সবাই একমত।
সংবিধান সংস্কার নিয়ে বেশকিছু মৌলিক প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি বলেও জানান আলী রীয়াজ। তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা দ্রুতই শুরু হবে, জুলাই মাসেই হবে জাতীয় সনদ। গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের বিষয়ে জনগণের মতামত জানবে কমিশন।
মন্তব্য করুন