
		বিএনপির সিনিয়র নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমানের সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। এনসিপিকে রাজাকারের নাতিপুতি বলায় পদ স্থগিত হয়েছে তার। এরই মাঝে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে এতো বড় সম্মেলন হয়ে গেলো, কিন্তু তিনি দাওয়াত পাননি। এই সম্মেলনের আগে তার স্থগিতাদেশ তুলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ফজলুর রহমান। অভিমান, রাগ কিংবা নতুন রাজনীতির বার্তা নিয়ে নতুন দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা।
ফজলুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এসেছে। তার মতে, এ দল যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তবে সেটি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের মতো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবে। প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে দাঁড়াবে। ৩০০ ক্যান্ডিডেট হবে আমি বলে দিলাম।
কিশোরগঞ্জে বিএনপি রাজনীতিতে তার অবদান নিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাকে বলে, আমি বাতিল হয়ে গেছি; কিশোরগঞ্জ সম্মেলনে যেতে পারব না। কে সহ্য করতে পারে এগুলা। আমিও তো মানুষ। এ দলের জন্য কিনা করেছি। জেল খেটেছি, নির্বাসনে রয়েছি, দেশ নেত্রী খালেদা জিয়ার নামে ৩০০ বক্তব্য দিয়েছি— যেটি বিশ্ব রেকর্ড।
মুক্তিযোদ্ধাদের দল গঠনের বিষয়ে ফজলুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে দেশে দল হবে। আপনি থাকবেন, আমি থাকব কিনা সেটা দেখা যাবে পরে। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়া আমাকে বিএনপির আহ্বায়ক করে কিশোরগঞ্জে দল গঠন করেন। আমি আহ্বায়ক ও কিশোরগঞ্জের সভাপতি ছিলাম। আমি হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমি বিএনপির মতো দল করব না— এটি ফালতু কথা। তবে আমার জীবন থাকে আর বিএনপি যদি আমাকে দলে না নেয়, আমি না হয় বসেই রইলাম। এ দেশটার জন্য তো আমি যুদ্ধ করেছি, আমি না হয় তাদের কথা চিন্তা করে সব বাদই দিয়ে দিলাম। বাকি বিদেশে আছেন ২ কোটি মানুষ, আমি চ্যালেঞ্জ করলাম এর ৯৯ শতাংশ মানুষ আমাকে সাপোর্ট করবে।
মন্তব্য করুন