
		বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে নিখোঁজের ১০৪ ঘণ্টা পর উদ্ধারপ্রাপ্ত হন।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচল ১ নম্বর মসজিদের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে কে এম মামুন তুরাগ থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। রাজধানীর তুরাগের হানিফ আলী মোড় এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হলে তুরাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী খাদিজা। পরিবারের অভিযোগ—গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে মামুনকে ফোন করে সরাসরি অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যচ্ছিল।
মামুনের সন্ধান চেয়ে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করে তার পরিবার। মানববন্ধনে মামুনের মা-বাবা সন্তানের জীবিত ফেরার আকুতি জানান। তারা দুজনই সন্তানের শোকে ভেঙে পড়েছেন।
মামুনের স্ত্রী খাদিজা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, পাঁচদিন ধরে আমার স্বামীকে পাচ্ছি না। আমি কোথায় গেলে সন্তানদেরকে তার বাবাকে ফিরিয়ে দিতে পারব? সরকার কী পারে না মাওলানা মামুনকে ফিরিয়ে দিতে? আমার স্বামীকে ছাড়া অসহায় হয়ে পড়েছি। আমাদের মাদ্রাসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আমার সন্তান সারাক্ষণ বাবার খোঁজ করে। ওকে আমি কীভাবে বুঝাবো? আমার স্বামীকে জুমার দিনেও কি পাব না?
                     
মন্তব্য করুন