
		ক্রীড়া ডেস্ক: মাঠে কোচদের খেলতে নামার ঘটনা নতুন কিছু নয়। চোট বা অন্য কোনো কারণে যখন খেলোয়াড়দের সংখ্যা কম থাকে, অনেকটা বাধ্য হয়েই কোচ নিজেই নামেন দলের হয়ে।
ঠিক যেমনটি দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডিং কোচকে গতকাল (১০ই ফেব্র“য়ারি) লাহোরে ফিল্ডিং করতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
ক্রিকেটারের অভাব। অগত্যা, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ফিল্ডিং কোচ ওয়ান্ডিল ওয়াভু এক ওভারের জন্য নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং চলাকালীন ফিল্ডিং করলেন। আসলে নিয়ম রয়েছে কোনো দলের যদি পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসেবে অতিরিক্ত কেউ না থাকে সেক্ষেত্রে দলের কোচিং স্টাফরা সেই কাজ করতে পারেন, অর্থাৎ ফিল্ডিং করতে পারেন।
খেলার শুরুতে অতিরিক্ত হিসাবে দু’জন ক্রিকেটারের নাম দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা। মোটে ১৩ জন ক্রিকেটার নিয়েই পাকিস্তানে ত্রিদেশীয় সিরিজে এসেছে তারা। দলে আর কোনও ক্রিকেটার নেই। আর সেই সুবাদে মাঠে দেখা গেল তাদের কোচকেই।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এক জন পরিবর্তিত ফিল্ডারের প্রয়োজন হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু তার আগেই দু’জন অতিরিক্ত ক্রিকেটার মাঠে নেমে পড়েছিলেন। সাজঘরে মাঠে নামার মতো কোনও ক্রিকেটার ছিলেন না। পরিস্থিতি সামলাতে জার্সি পরে মাঠে নামতে হয় দলের ফিল্ডিং কোচ গাভুকে। সাদা বলের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডিং কোচ তিনি। কিছু দিন আগেই তাকে নিয়োগ করেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা।
কেন এই খেলোয়াড় সংকট, এমন প্রশ্নের উত্তরটা মিশে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে। পাকিস্তানে যখন দল রওনা দিয়েছে, তখন পর্যন্ত চলছিল দেশটির ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর এসএ ২০। যে কারণে ৬ জন অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে নিয়েই এই ত্রিদেশীয় সিরিজে চলে এসেছে টেম্বা বাভুমার দল।
তাদেরই একজন গতকাল গড়লেন বিশ্বরেকর্ড। ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটা খেলেছেন ম্যাথু ব্রিটজকে। ১৫০ রান করেছেন এই ওপেনার। সেইসঙ্গে জেসন স্মিথ ৪১ এবং উইয়ান মুলডারের ৬৪ রানের ইনিংসের সুবাদে ৩০৪ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৪৮.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০৮ রান করে নিউজিল্যান্ড।
১১৩ বলে ১৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কেন উইলিয়ামসন। ১৩টি চার এবং ২টি ছয় আসে তার ব্যাট থেকে। ১০৭ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে। পাকিস্তানের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে চলে গেল নিউজিল্যান্ড।
মন্তব্য করুন