
		ক্রীড়া ডেস্ক: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নামার আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কাছেই বিকেএসপির কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেয়া হয় দেশের সর্বকালের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে।
আচমকা এমন খবরে ক্রিকেটাঙ্গনে কালো ছায়া নেমে এসেছিল। তামিমের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল এয়ার হেলিকপ্টার। তবে তৎক্ষণাৎ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে তার হার্টে রিং পরানো হয়।
বিকেএসপির স্বনামধন্য কোচ মন্টু দত্ত সকাল থেকেই তামিমের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিতি জানান, হেলিকপ্টারে ওঠার মতো পরিস্থিতিই ছিল না। হার্টে রিং পরানো শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হলে হয়ত তামিম ইকবালকে আর ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে না।
হেলিকপ্টার নামানো হয় তখন তামিম বুঝতে পেরে এবং অনেকটা জোর করেই অ্যাম্বুলেন্সে চেপে বিকেএসপি ফেরত যান। মন্টু দত্ত জানান, বিকেএসপিতে আরেকবার ফেরার পথে কেপিজি হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক তার সাথে ছিলেন।
কিন্তু সেখানে যাবার পর তার পালস পাওয়া যায়নি। মন্টু দত্ত এরপরে জানান, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে যাব, তার কোন পালস পাওয়া যায় না। দশ মিনিট বুকে চাপ দেয়ার পর কিছুটা পালস পেলে তাকে আবার কেপিজি হাসপাতালে আনা হয়। ওই মুহূর্তে ডাক্তার বলছিল, আমরা যদি তামিমকে এয়ারে তুলি, হয়ত আমরা তামিমকে আর ফিরে পাবো না। তারপর এখানে নিয়ে আসার পর তাকে আবার ইমার্জেন্সিতে ভেতরে ঢোকানো হয়। তড়িঘড়ি করে অপারেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ব্লক ধরা পড়ে।
এদিকে চিকিজৎসকরা জানিয়েছেন, হার্টে রিং পরানোর পর তামিমের তার জ্ঞান ফিরেছে। সেই চিকিৎসক ও পরিবারের সাথে কথা বলেছেন। তবে তাকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন