
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজি ও অটোর ত্রিমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৩জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন নারী। আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ী ইউটার্নে ঘটনাটি ঘটেছে। তথ্যটি সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় লাকসাম থেকে চৌদ্দগ্রাম মুখি একটি ট্রাকের সাথে লাকসাম- চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ীর সামনে ইউটার্নে চৌদ্দগ্রাম থেকে নাঙ্গলকোট গামী একটি সিএনজি ও একটি অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি ধুমড়ে মুছড়ে ট্রাকের নিচে চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষ ও একজন নারীসহ ৩ জন নিহত হয়।
নিহতরা সবাই সিএনজির যাত্রী। এই সময় আরো ৫ জন আহত হয়। আহতরা হলেন নাঙ্গলকোট উপজেলার মহিশ্বর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আবু তৈয়ব (২৬), একই উপজেলার বাঙ্গড্ডার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম (২৭), আলী হোসেনের ছেলে অটো চালক মাহবুবুল হক ও আবুল কালামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪২)। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আব্দুর রহিম, আনোয়ারা বেগম, আবু তৈয়বসহ অজ্ঞাতনামা আরো একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায় নি।
অটো চালক মাহবুবুল হক বলেন, লাকসাম থেকে চৌদ্দগ্রাম মুখি একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে এসে চৌদ্দগ্রাম থেকে নাঙ্গলকোট গামী সিএনজির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এই সময় আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজির পিছনে ধাক্কা দেই। এতে ত্রিমুখি সংঘর্ষ হয়।
চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, দ‚র্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যায়। ট্রাক, সিএনজি ও অটোর ত্রিমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩ জন মারা যায়। মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ট্রাকের ভিতরে সিএনজি ডুকে যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন