
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচআনি গ্রামের খুদে ফুটবলার সোহান (০৬) এখন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের আলোচিত নাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘খুদে মেসি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর এবার এই ছোট্ট প্রতিভাবান ফুটবলারের জীবনে যুক্ত হলো নতুন অধ্যায়— বিকেএসপি স্কলারশিপ।
ফুটবল নিয়ে বিস্ময়বালক সোহানের কচি পায়ের নানা কারুকাজ, অসাধারণ ড্রিবলিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে অনেককেই মুগ্ধ করেছে, যা নজর এড়ায়নি যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ারও। গতকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা। বিকেএসপিতে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হবে সোহান।
এই ঘোষণার মাধ্যমে মতলবের গ্রামীণ শিশু সোহানের সামনে উন্মোচিত হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পেশাদার প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত।
মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচআনী গ্রামের বাসিন্দা সোহেল প্রধানিয়ার একমাত্র ছেলে সোহান প্রধানিয়া। সোহেল এলাকাটিতে সাইকেল মেরামতের কাজ করেন। আর শিশু সোহান বর্তমানে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে পড়াশোনা করছে।
সোহানের বাবা সোহেল প্রধানিয়া আনন্দে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আল্লাহ তা'আলা মনে হয় আমার ডাক শুনছে। আমি গরিব মানুষ, তবুও আমি আমার চেষ্টা থামাই নাই। সোহানরে তারেক রহমান সাহায্য করতেছে, আমাদের ইউএনও ম্যাডামও সাহায্য করতেছে। বর্তমান ক্রীড়া উপদেষ্টার দয়ায় আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণ হইতে যাইতাছে। সবাই দোয়া করবেন আমার ছেলে যেন বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য কিছু করতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, অসম্ভব প্রতিভা সম্পন্ন খুদে এই মেসির জন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টাই অব্যাহত রেখেছি। নগদ অর্থ সহায়তা, ক্রীড়া সরঞ্জাম ও নিয়মিত প্র্যাকটিসের জন্য স্থানীয় প্রশিক্ষকের ব্যবস্থা করেছি।
অন্যদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সোহানের পাশে থাকার। ৭ বছর বয়সে বিকেএসপিতে ভর্তির আগ পর্যন্তও সোহানকে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা ও ক্রীড়া সামগ্রী দিচ্ছেন।
এখন সেই খুদে ফুটবলারের মুখে একটাই স্বপ্নের কথা,আমি মেসির মতো খেলোয়াড় হতে চাই, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাই।
মন্তব্য করুন