
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর তীর রক্ষায় ৩১শ’ কোটি টাকার বাঁধ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে গণসমাবেশ করা হয়েছে। এতে বিএনপি-জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থিরা ঐক্যবদ্ধ কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাদিরপন্ডিতেরহাট বিদ্যালয় মাঠে এ গণ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় ইমাম সমিতির জেলা সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এ আর হাফিজ উল্যাহ। স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদ মু. আনোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন কমলনগর উপজেলা জেএসডির সভাপতি আব্দুল মোতালেব প্রমুখ।
জামায়াত মনোনিত সংসদ সদস্য প্রার্থী এআর হাফিজ উল্যাহ বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে যারা এমপি হয়েছেন, তারা যদি দক্ষ পদক্ষেপ নিতো তাহলে রামগতি কমলনগরের এতগুলো এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেত না। এখানে এমপি-মন্ত্রী ছিলেন, অনেকে নানা পদে ছিলেন। কেউ বিরোধীদলীয় উপনেতার মতো উচ্চ পদেও ছিলেন। কিন্তু জাতিকে তারা কী দিয়েছেন? ৩১শ কোটি টাকার বাঁধ প্রকল্প থেকে সাবেক এমপি (বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান) নিজের পকেটে পার্সেন্টিস নিয়েছেন।
বিএনপি নেতা আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, জুলাই আন্দোলনে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি রক্ত দিয়েছে। লক্ষ্মীপুর -৪ আসনে জামায়াত-বিএনপি বা অন্য ইসলামী দল আসুক বুকে জড়িয়ে নিয়ে রামগতি-কমলনগরের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবো।
তিনি আরো বলেন, ৩১শ’ কোটি টাকার প্রকল্প কিভাবে গেছে এটা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলতে চাই- কিছু কিছু টেন্ডার, রিটেন্ডার হয়েছে। সেগুলোর সুন্দরভাবে কাজ করেন।
জানা যায়, ২০২১ সালে একনেকের সভায় রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৩১ কিলোমিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধের জন্য প্রায় ৩১শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন করা হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর কয়েকজন ঠিকাদার কাজ রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠে। যেসব ঠিকাদার কাজ না করে চলে গেছেন, সেগুলোর পুনরায় টেন্ডার হয়।
মন্তব্য করুন