সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্টিলাইজার কম্পানির শ্রমিক-কর্মচারীরা এক করপোরেশন, এক পে-স্কেল বাস্তবায়ন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ এবং কারখানা পূর্ণমাত্রায় সচল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। দাবি মানা না হলে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন।সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বজলুর রশিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ,আকতার হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা জানান, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে গত ১ মার্চ থেকে আশুগঞ্জ সার কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ১১শত টন ইউরিয়া সার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। দেশের সার উৎপাদনে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কোষাগারও বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার বলেন, একই কারখানায় দুই ধরনের বেতন কাঠামো চালু থাকা গভীর বৈষম্য। টেকনিশিয়ান ও অপারেটরদের মজুরি স্কেলে, আর বাকি কর্মচারীদের জাতীয় পে-স্কেলে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়-যা অযৌক্তিক ও অন্যায় বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মজুরি স্কেল বাতিল করে সব শ্রমিক-কর্মচারীকে জাতীয় পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে সার আমদানি বন্ধ করে কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, যেন আশুগঞ্জ সার কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন দ্রুত পুনরায় চালু করা যায়। অন্যান্য শ্রমিকরা জানান, দাবি আদায় না হলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
মন্তব্য করুন
