
ফাহিম মোনায়েম : জ্বালানি সংকট, শ্রমিক অসন্তোষ ও ব্যাংক খাতের অস্থিতিশীলতা, ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান সময়মতো বেতন দিতে না পারায় ফলে গেলো ক’ মাসে ৭৬ টি গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে বেকার হয় অন্তত ৪০ হাজার শ্রমিক। শিল্প মালিকদের অভিযোগ, সংকট সমাধানে বড় কারখানাগুলোর দিকে নজর দিলেও ছোটগুলো থাকছে অবহেলায়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সাথে সাথে যেসব পোশাক কারখানা মালিকরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়... অনেকে ধরা পরে পুলিশের হাতে....তাদের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় শ্রমিক অসন্তোষ। তাদের দাবী মেনে নিয়ে কারখানায় ফেরাতে সক্ষম হয় অর্ন্তবর্তী সরকার।
পোশাক খাতে এমন অস্থিরতা নতুন কিছু নয়। বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, জ্বালানী সংকটসহ নানা কারনে বন্ধ হয়েছে অনেক কারখানা। এতে গত এক বছরে ১৪০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে ৭৬টি, নিট খাতে ৫০টি এবং টেক্সটাইল খাতের ১৪টি কারখানা রয়েছে। বেকার হয়েছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার শ্রমিক। নেক্সাস গ্র“প এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি বলছেন, বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো চালুর উদ্যোগ নেয়া। সেই সাথে আর কোন কারখানা বন্ধ না হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ডেলাইট গ্রুপ এর চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বলছেন, দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। কিন্তু এই শিল্পের সংকট সমাধানে তেমন কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
অনেক প্রতিষ্ঠান যেমন বন্ধ হচ্ছে, নতুন প্রতিষ্ঠানও আবার যুক্ত হচ্ছে। বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে আধুনিক পোশাক শিল্প গড়ে তুলতে হবে। সরকার ও মালিক পক্ষ এক সাথে কাজ করতে হবে বলে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ।
অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে পোশাক শিল্পের সমস্যা তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় জটিলতা আরো বেশি সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন মালিকরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে বিজিএমইএ’র নির্বাচন চান তারা।
মন্তব্য করুন