
		ফাহিম মোনায়েম : দেশে উৎপাদিত কাপড় দিয়ে তৈরি-পোশাক রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। বর্তমানে চাহিদার ৬০ ভাগ কাপড় দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। ফলে পোশাক খাতের কাঁচামালের জন্য আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমে এসেছে। সক্ষমতা বাড়ায় ক্রেতাদের চাহিদা মতো পোশাক সরবরাহ করতে পারছে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন বিশ্ববাজারে চীনের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চান পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তৈরি পোশাক শিল্পে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চায়নার পরেই। চীন তাদের পোশাক শিল্প থেকে সরে যাচ্ছে। ফলে সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতার জানান দিতে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে। তৈরি পোশাক খাতের বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি কমেছে। দেশেই অনেকে কাঁচামাল উৎপাদন করছে। বেড়েছে কাপড় তৈরির সক্ষমতাও।টেনসেল লিউক্স ফাইবার, জুট ফাইবার, বানানা ফাইবার, এগ্রোলুপ ফাইবার, ১০০ ভাগ লিনেন এবং কাপুক ফাইবার কাপড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পোশাক। বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রদর্শনীরও আয়োজন করছে দেশি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশে বছরে ১০ বিলিয়ন মিটার কাপড় প্রয়োজন সেখানে স্থানীয় উৎপাদকরা ৬ বিলিয়ন মিটার সরবরাহে সক্ষম। পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীনের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশকে তৈরির লক্ষে আধুনিকায়নের দিকে যাচ্ছে তারা। বেশিরভাগ কাপড়ই দেশে উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে, কারখানার শৃঙ্খলা, শ্রমিক অসন্তোষ ও রাজনৈতিক অস্থিরতা কমাতে সরকার উদ্যোগ নিলে আরও সক্ষমতা বাড়বে মনে করেন পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন