
		নিজস্ব সংবাদদাতা: বিগত সরকার অহেতুক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে রাজস্ব ও বিদেশি অর্থের অপচয় করেছে। এতে চাপ বেড়েছে বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিস্থিতির ওপর। সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সিএ ভবনে এনবিআর সংস্কার নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা। এসময় সংস্কারের মাধ্যমে বিনিয়োগ সহায়ক কর কাঠামো গড়ে তোলার আশ্বাস দেয় এনবিআর সংস্কার কমিটি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজস্ব বোর্ড সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েও খুব একটা পরিবর্তন আসেনি দেশের বিনিয়োগ-বাণিজ্যে। উল্টো আইএমএফের শর্তের বেড়াজালে শতাধিক পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি করে বিতর্কে জড়ায় অন্তর্বর্তী সরকার। (এনবিআর জিভি)এমন পরিস্থিতিতে, এনবিআরের সংস্কার নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে আইসিএবি ও ইআরএফ। এতে রাজস্ব বোর্ডের কর আহরণ প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলেন, প্রকল্পের অর্থ যোগান দিতে জনগনের ওপর করের বোঝা চাপিয়েছিলো তৎকালীন সরকার। যৌক্তিক পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানোর পরামর্শও দেন তারা। এনবিআর সংস্কার কার্যক্রমের ফিরিস্তি তুলে ধরে সংস্কার কমিটির সদস্যরা বলেন, সব পর্যায়ে একসাথে ডিজিটালাইজেশন করতে না পারলে এর সুফল মিলবেনা।এনবিআরকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার অভিমত দেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ।কর বাড়িয়ে সেটির ব্যবহার ঠিকমতো করতে না পারলে রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার মুখ থুবড়ে পরবে বলেও মনে করে আলোচকরা।
মন্তব্য করুন