
		ফাহিম মোনায়েম : দেশের পোশাক শিল্প একের পর এক সংকট ও সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারছে না। জ্বালানি সংকট, ব্যাংক থেকে মিলছে না ঋণ সুবিধা। রাজস্ব বিভাগের হয়রানি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, শ্রমিক অসন্তোষ এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বাড়াচ্ছে মালিকদের দুশ্চিন্তা। আগামীতে পোশাকখাতের পতন দেখতে না চাইলে দ্রুত সমাধানে উদ্যোগ নিবে সরকার এমন দাবি শিল্পমালিকদের।
লাখ লাখ কর্মীর জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতিতে অবদান রাখা ছোট- বড় শিল্প কারখানার পরিস্থিতি ক্রমেই তাদের প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানির আশ্বাস দিয়ে কয়েক দফায় গ্যাস ও বিদ্যুতে দাম বাড়িয়ে ছিলো পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ক্ষমতায় থাকতেও আশ্বাস বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
সরকার বিদায় হলেও সেই সংকট কাটেনি। চড়া দাম দিয়েও এখনো চাহিদা মতো শিল্পের জ্বালানী পাচ্ছেনা পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে কমছে উৎপাদন সক্ষমতা। তার সাথে যুক্ত হয়েছে ব্যাংকের চড়া সুদহার। ডলার সংকটের কারণে এখনো এলসি জটিলতায় ভুগছে প্রতিষ্ঠানগুলো। বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না পাওয়া। শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছেনা দেশের রপ্তানি খাত। ব্যবসায়িদের অভিযোগ, প্রতিযোগিতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছে বেশিরভাগ কারখানা।
বিজিএমইএ হিসেবে, দেশে কারখানার সংখ্যা ২ হাজার ৩৩৯ টি। এর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৬০০টি কারখানা বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি কার্যাদেশ পেয়ে পণ্য রপ্তানি করছে। বাকি কারখানাগুলো সাব-কনট্রাক্টিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। শিল্পের এই সংকট নিয়ে সরকারের কাছে কথা বলার মতো নেতৃত্ব নেই বিজিএমইএতে।
অর্ন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর নানা সংকটের মধ্যেও চলতি অর্থবছরেরর ৭মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। বিশ্লেষকরা তাগিদ দিয়েছেন প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার।
মন্তব্য করুন