
		নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় অর্ন্তবর্তী সরকার। মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধিতে সাড়ে ৫ শতাংশেই তুষ্ট থাকতে চায় নীতি নির্ধারকরা। এমন লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখেই নতুন অর্থবছরের বাজেট তৈরি শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আর সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট হতে পারে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজেট যেন আগের মতো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী না হয়; তাতে যেন গুরুত্ব পায় বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য। এদিকে আর্থিক খাত সংস্কারে অর্ন্তবর্তী সরকারের নানা উদ্যোগ আশার আলো দেখালেও কোনোভাবেই যেন বাগে আসছে না লাগামহীন মূল্যস্ফীতি। চলতি অর্থবছরে সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে শীত মৌসুমে অর্থাৎ ফেব্র“য়ারি মাসে মুল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশের কিছু নিচে। মার্কিন ডলারের সংকট পুরোপুরি কাটেনি। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের অবস্থাও ভালোনা। রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কিছুটা ভালো থাকলেও সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে টেকসই অবস্থা ফেরেনি এখনো। এমন বাস্তবতা সামনে রেখেই আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সাড়ে আট লাখ কোটি টাকার বাজেট তৈরি করছে অর্ন্তবর্তী সরকার। মূল্যস্ফীতি নামিয়ে আনতে চায় ৭ শতাংশে। আর জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। বিগত বাজেটের মতো যেন লোক দেখানো আর রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী না হয় সেদিকে নজর দেয়ার তাগিদ অর্থনীতিবিদের। বাজেটের আকার বাড়ানোর চেয়ে চলমান সংস্কারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাস্তবসম্মত বিনিয়োগ আর কর্মসংস্থান ঘিরে বাজেট প্রণয়নের পরামর্শও দিচ্ছেন তারা।উল্লেখ্য,সংসদ না থাকায় আগামী জুনে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে ঘোষণা হবে আসছে বাজেট। সেখানে একটা ব্যবসা-বাণিজ্য বান্ধব ও বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাড়ে এমন উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান সরকারের পক্ষ থেকে।
মন্তব্য করুন