
জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ দিবস আজ। ২০১২ সনের ১৯ জুলাই তিনি মারা যান। সাহিত্যের পাশাপাশি নাটক ও সিনেমায় তার উল্লেখযোগ্য অবদান আছে। প্রচলিত সিনেমার বাইরে তার নির্মিত ছবি আলোচিত ও জনপ্রিয় হতে দেখা গেছে।
তাঁর কাহিনীচিত্রে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রথম নাটক প্রচারিত হয় ১৯৮৩ সালে যার নাম ছিল ‘প্রথম প্রহর’। এছাড়া নির্বাসন,খেলা,অচিনবৃক্ষ,খাদক,‘একদিন হঠাৎ’ এবং অন্যভূবণ’ ছিল আলোচিত একক নাটক।
হুমায়ূন আহমেদের লেখা প্রথম ধারাবাহিক ‘এইসব দিন রাত্রি’ ১৯৮৫ সালে প্রচারিত হয়েছিল বিটিভিতে যা তুমুল জনপ্রিয় হয়। ‘বহুব্রীহি’ কিংবা ‘অয়োময়’ও ছিল জনপ্রিয়। কিন্তু তাঁর লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ বাংলা নাটকের ইতিহাসে জনপ্রিয়তম ধারাবাহিক। নাটকের মূল চরিত্র বাকেরের ফাঁসি হলে সারাদেশে এর প্রতিবাদ হয়েছিল। এমন কী বাকেরের কূলখানির অনুষ্ঠানও হয়েছিল ঘটা করে। এ ছাড়া ‘আজ রবিবার’, উড়ে যায় বকপক্ষী’,‘নক্ষত্রের রাত’ কিংবা ‘কালা কইতর’ তাঁর আলোচিত ধারাবাহিক।
বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। ১৯৯২ সালে প্রথম মুক্তি পায় ‘শঙ্খনীল কারাগার’। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় ‘আগুনের পরশমনি’। আলোচিত ছবি ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, নন্দিত নরকে,দুই দুয়ারী ও ‘আমার আছে জল’ তার আলোচিত ছবি। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত সর্বশেষ ছবি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ মুক্তি পায় ২০১২ সালে।
তাঁর লেখা গানও তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে। তাঁর তৈরি ‘নুহাশ পল্লী’তেই তিনি ঘুমিয়ে আছেন।
মন্তব্য করুন