
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পোশাক নির্দেশনা কিংবা প্রত্যাহারের কারণে কি না জানা না গেলেও অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তিনি লিখেছেন -‘সমাজের চোখে যা ভদ্র এবং মানানসই, বাবা মা যেমন চাইতেন ছোটকালে তেমন পোশাকেই পরতাম। হয়তো সমাজের চোখে আমি একটি নিখুঁত মেয়ে হতে চেয়েছিলাম। নিয়ম এর মধ্যে যেটি ভালো তেমনি হতে চেয়েছিলাম । কিন্তু একদিন আমার জগৎটাই ভেঙে গেল একদিন।’
তিনি লিখেছেন-‘সংঘাতমুখর দাম্পত্য জীবন শেষ করে ২০০৬ সালে আমি লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। সেখান থেকেই আসলে আমি নারী হিসেবে নয় মানুষ হিসেবে বাঁচতে চেষ্টা করেছি। লাজুক স্বভাব কাটিয়ে এখান থেকে আমি আত্মবিশ্বাস পেতে শুরু করি এবং ঘুরে দাঁড়াই। নতুন করে বেঁচে থাকার কিংবা জীবনের প্রেমে পড়ি’।
আরও লিখেছেন -‘একদা ভালো নারী হওয়ার চেষ্টা করতাম। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে সমাজ সম্ভবত আমাকে সবচেয়ে খারাপ নারীর তকমা দিয়ে দেয়! সারা জীবন কেটেছে ভালো হওয়ার জন্য কিন্তু সমাজের এই উপহাস কিংবা ব্যর্থতার মাঝে আমি খুঁজে পেয়েছি সাহস। মানুষ হয়ে দাঁড়ানোর এক অনমনীয় চরিত্র।
পোশাক নিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথাও তিনি বর্ণনা করেছেন স্ট্যাটাসে। একবার তিনি একটি সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে হাত খোলা ব্লাউজ পড়ে গিয়েছিলেন। তাকে বলা হয়েছিল চুল দিয়ে সেই অংশটা ঢেকে রাখতে। তার এক বন্ধু টেলিফোন করে বলেছিল একটু ঢেকেঢুকে কাপড় পড়া উচিত। শালীন নারী হিসেবে কিভাবে চলা উচিত অনেকে সেই উপদেশও দিয়েছেন।
‘ আমি এখন নিজের মত করে বাঁচার চেষ্টা করছি. কোনো কিছুই এখন আর গায়ে মাখি না’ লিখে শেষে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন- তিনি স্বাধীন । কি পরবেন কি করবেন, কি বলবেন. কি ভাববেন সেটা একান্তই তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। অন্য কারো নয়। সমাজ কিছু চাপিয়ে দিলে তার মন খারাপ হয়।
তিনি মনে করেন এটাই নারীদের প্রতি দিনের বাস্তবতা
মন্তব্য করুন