
		আজ ঢাকা মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনের মঞ্চে দুটি শো হচ্ছে ‘বনের ধারে নদী’র। শিশু কিশোর নিয়ে কাজ করার প্রত্যয়ে আফসানা মিমি ২০১৬ সালে গড়ে তুলেছিলেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ইচ্ছেতলা’। ‘ইচ্ছেতলা’র প্রথম মঞ্চনাটক ‘বনের ধারে নদী’।
চার থেকে পনের বছর বয়সী ৪০ জন শিশু কিশোর এই নাটকে অভিনয় করেছেন।এই শিশু কিশোরদের কাছে আফসানা মিমি ‘খালামনি’ নামে পরিচিত।
নাটকের জন্য পুরো মঞ্চটি সাজানো হয়েছে বন, নদী, গাছপালা দিয়ে। এই শিশুরাই অভিনয় করেছেন খরগোশ,পাথি, খরগোশের বাচ্চা কিংবা মৌমাছির ভূমিকায়। এই শিশুরাই ফুল পাখি,ব্যাঙ, বানর. মাকড়সা, নেকড়ে, হাতি চরিত্রে রূপ দিয়েছেন।
অনেকদিন ধরে চলছিল নাটকের অনুশীলন। আজ মহিলা সমিতিতে পরপর দুটো শো অনুষ্ঠতি হচ্ছে। প্রায় দশ বছর হলো আফসানা মিমি এই ‘ইচ্ছেতলা’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ্এটা শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে,কোভিদ মহামারীর কারণে কিছুদিন কার্ক্রম বন্ধ ছিল।
নাটকটি পরপর কয়েক মাসে কয়েকটি শো করার কথা রয়েছে ইচ্ছেতলার। কারণ প্রসঙ্গে আফসানা মিমি বলেন- এই বাচ্চারা একদিন বড় হয়ে যাবে। তখন আর নাটকে তাদের দেখানো সম্ভব হবে না। নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার পরে এটি ওটিটির জন্য তৈরি করা হবে।
‘বনের ধারে নদী’র গল্প একটি বন এবং নদী নিয়ে। সেখানে পশুপাখির বসবাস। মানুষ নদী দখল করে,দূষিত করে। এমন একটি র্বাতা এই নাটকে দেয়া হয়েছে। প্রকৃতিকে ভালোবাসার, এই পৃথিবীটা শিশুদের চোখে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে।
নাটকটি রচনা করেছেন সৌমিত্র বসু, নির্দেশনা র্দিয়েছেন মোহাম্মদ, মঞ্চ ও আলোক-নির্শনায় সাইফুল ইসলাম এবং নাটকের সংগীত পরিচালনা করেছেন দেবাশীষ দম।
মন্তব্য করুন