
গ্রীষ্মের অন্যতম সফল ছবি হিসেবে বক্স অফিস মাতিয়ে চলেছে নিশা গণাত্রা পরিচালিত এবং লিন্ডসে লোহান ও জেমি লি কার্টিস অভিনীত কমেডি ছবি ‘ফ্রিকিয়ার ফ্রাইডে’। ২০০৩ সালের ক্লাসিক ছবির এই বহু প্রতীক্ষিত সিক্যুয়েলটি প্রত্যাশার চেয়েও অনেক ভালো ফল দেখাচ্ছে যা প্রমাণ করে পারিবারিক এবং মন ভালো করা ছবির প্রতি দর্শকদের আগ্রহ এখনো অটুট।
মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ছবিটি বিশ্বব্যাপী দারুণ সাফল্য পেয়েছে। প্রথম সপ্তাহান্তেই উত্তর আমেরিকায় ছবিটি প্রায় ২৮.৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে। ২০ আগস্ট পর্যন্ত শুধু উত্তর আমেরিকায় এর আয় দাঁড়িয়েছে ৫৬ মিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এসেছে আরো ৩২ মিলিয়ন ডলার যা এর মোট বিশ্বব্যাপী আয়কে ৮৮ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দিয়েছে। ৪২ থেকে ৪৫ মিলিয়ন ডলারের একটি সীমিত বাজেটের ছবির জন্য এটি একটি অসাধারণ সাফল্য। ছবিটি বিশ্বব্যাপী ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘ফ্রিকিয়ার ফ্রাইডে’ এর এই সাফল্য আরো বেশি নজরকাড়া কারণ এটি দর্শকদের কাছ থেকে দারুণ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। মূল ছবিটি যেখানে ‘এ-’ রেটিং পেয়েছিল সেখানে এই সিক্যুয়েলটি পেয়েছে ‘এ’ গ্রেড। দর্শকদের মুখে মুখে এর প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ায় ছবিটি পেক্ষাগৃহে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকতে পারছে। আজকের দিনে যেখানে মুক্তির আগেকার রিভিউগুলো ছবির ভাগ্য নির্ধারণ করে সেখানে ‘ফ্রিকিয়ার ফ্রাইডে’ ভালো রিভিউ পেয়ে দর্শকদের দারুণ সমর্থন আদায় করে নিয়েছে।
বক্স অফিসে ‘ফ্রিকিয়ার ফ্রাইডে’ এর এই সাফল্যের পাশাপাশি আরেকটি ছবিও দারুণ ব্যবসা করছে। জ্যাক ক্রেগারের হরর ছবি ‘উইপনস’ মাত্র দুই সপ্তাহে উত্তর আমেরিকায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পার করেছে। ছবিটি শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে ১৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ‘উইপনস’ এর চেয়ে ভিন্ন ঘরানার ছবি ‘ফ্রিকিয়ার ফ্রাইডে’ দর্শকদের একটি হালকা চালের বিনোদন দিচ্ছে যা তারা সত্যিই পছন্দ করছে। শক্তিশালী আয় এবং প্রচুর ভক্তের ভালোবাসা নিয়ে ‘ফ্রিকিয়ার ফ্রাইডে’ শুধু একটি সিক্যুয়েল নয় বরং একটি সফল প্রত্যাবর্তন গল্প হয়ে উঠেছে।
মন্তব্য করুন