
হলিউডের জনপ্রিয় তারকা ডোয়াইন জনসন, যিনি ‘দ্য রক’ নামেই বেশি পরিচিত, এবার তার অ্যাকশন-হিরোর ইমেজ ভেঙে নতুন এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছেন। সম্প্রতি তিনি ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন পরিচালক বেনি সাফডির নতুন স্পোর্টস ড্রামা ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ এর জন্য তাকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা মেকআপ নিতে হতো।
এই ছবিতে ডোয়াইন জনসন ইউএফসি হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন মার্ক কেরের চরিত্রে অভিনয় করছেন। জনসন জানিয়েছেন এই ধরনের একটি চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো নার্ভাস এবং ভীতি অনুভব করেছেন। তিনি বলেন- ‘আমি সত্যিই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম এবং ভাবছিলাম, আমি কি এটা করতে পারব? আমার মনে হয়েছে হয়তো এই সুযোগগুলো আমার কাছে আসছিল না কারণ আমি নিজেই এমন ঝুঁকি নিতে ভয় পেতাম’।
জনসন আরও বলেন- ‘আমি সব সময় এমন একটি চরিত্রে কাজ করতে চেয়েছিলাম যা অনেক বেশি বাস্তবসম্মত এবং আমার ভেতরের সত্তাকে পুরোপুরি উন্মোচন করতে পারে। তখনই ‘স্ম্যাশিং মেশিন’ এর প্রস্তাবটি আমার কাছে আসে’।
ছবিতে মার্ক কেরের ব্যক্তিগত জীবন, মাদকাসক্তি এবং স্ত্রী ডন (অভিনয়ে এমিলি ব্লান্ট) এর সাথে তার জটিল সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। ডোয়াইন জনসন এবং এমিলি ব্লান্ট বাস্তব জীবনে ভালো বন্ধু। জনসনের মতে তাদের এই ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বই তাকে ক্যামেরার সামনে আরও বেশি আবেগপ্রবণ হতে সাহায্য করেছে।
এমিলি ব্লান্ট বলেন- ‘ডোয়াইন জনসন সবসময় এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন যেখানে তিনি একজন অদম্য হিরো হিসেবে সব সমস্যার সমাধান করেন। আমার মনে হয় তিনি হয়তো ভাবতেন দর্শকরা তাকে শুধু এই ধরনের চরিত্রেই দেখতে চায়’।
নিজের রূপান্তরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জনসন বলেন- ‘আমি প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা আয়নার সামনে বসে দেখতাম আমার পুরো চেহারাটা ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। প্রায় ১৩-১৪টি ভিন্ন ধরনের কৃত্রিম অংশ (প্রস্থেটিক্স) ব্যবহার করা হয়েছিল। মেকআপ শেষে আমি সম্পূর্ণভাবে মার্ক কেরে পরিণত হতাম। তার হাঁটা, কথা বলা এবং জীবনকে দেখার ধরন সবটাই আমি অনুভব করতে পারতাম’।
‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ আগামী ৩ অক্টোবর মুক্তি পাবে। এর আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে ছবিটি।
মন্তব্য করুন