
যুদ্ধের ভয়াবহতার মাঝেও ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতারা বিশ্ব অঙ্গনে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছেন। সম্প্রতি একাধিক ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে প্রশংসা কুড়াচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী পরিবেশকদের আগ্রহ আকর্ষণ করছে। সুযোগ ও বাধার মুখোমুখি হয়েও ফিলিস্তিনি সিনেমার একটি নতুন ধারা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হচ্ছে।
গত বছর ‘নো আদার ল্যান্ড’ নামের একটি তথ্যচিত্র সেরা ডকুমেন্টারি ফিচার হিসেবে অস্কার জিতলেও মুক্তির ক্ষেত্রে নানা বাধার সম্মুখীন হয়। কিন্তু এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। এখন ফিলিস্তিনি অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো উৎসবে ও বাজারে ব্যাপক চাহিদা তৈরি করেছে।
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত তিনটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো: আনমারি জাসিরের ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, চেরিন ডাবিসের ‘অল দ্যাটস লেফট অফ ইউ’ এবং কাউথের বেন হানিয়ার ‘দ্য ভয়েস অফ হিন্দ রাজাব’। এই তিনটি ছবিই আন্তর্জাতিক বাজার এবং সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পরিবেশকরা মনে করছেন এই ছবিগুলোর বাণিজ্যিক সম্ভাবনার পাশাপাশি রাজনৈতিক বার্তাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়াটারমেলন পিকচার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হামজা আলি, যিনি নিজেও ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত, তিনি বলেন- আমাদের সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের ভুল উপস্থাপনাকে দূর করতে এই চলচ্চিত্রগুলো সাহায্য করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে মানুষের কাছে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার চিত্র পৌঁছাচ্ছে এবং এখন সিনেমা এই সহানুভূতির গভীরতা বাড়াতে সাহায্য করছে।
যদিও ফিলিস্তিনি গল্পগুলো প্রকাশের ক্ষেত্রে এখনো নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে তারপরও শিল্পে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইউরোপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও এই চলচ্চিত্রগুলো সাড়া ফেলছে, যা এক বছর আগেও প্রায় অসম্ভব ছিল। চলচ্চিত্র নির্মাতারা বিশ্বাস করেন এই কঠিন সময়ে সিনেমা তাদের নীরব না থাকার একটি উপায়।
মন্তব্য করুন