
		অনেক 'প্রথম' এর সমাহার 'সুতরাং' ছবি যেটা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৪ সালে। এই ছবির পরিচালক সুভাষ দত্ত যিনি ২০১২ সালে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।
কিশোরী বয়সে এই ছবিতে প্রথম অভিনয় করেছিলেন নায়িকা কবরী। কবরীর পারিবারিক নাম ছিল মীনা পাল। চট্টগ্রাম থেকে তিনি প্রথম ঢাকাতে এসেছিলেন ‘সুতরাং’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য।
সুভাষ দত্ত অভিনীত ও পরিচালিত প্রথম ছবিও ‘সুতরাং’। কবরী স্মৃতিকথায় বলেছিলেন অভিনয়ের প্রথম শিক্ষক তাঁর সুভাষ দত্ত।দত্ত সাহেবের চড়ও খেয়েছিলেন ছবিতে অভিনয় কালে!
সত্য সাহাও এই ছবিতে প্রথম সঙ্গীত পরিচালক হয়েছিলেন! সৈয়দ শামসুল হক এই ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছিলেন, ছিলেন সবগুলো গানের গীতিকার।
আজও এই ছবির গানগুলো মানুষ মনে করতে পারে।
প্রথমটা- ‘এমন মজা হয় না/ গায়ে সোনার গয়না/খুকুমনির বিয়ে হবে বাজবে কত বাজনা’... আঞ্জুমান আরা বেগম গেয়েছিলেন - ‘তুমি আসবে বলে/ কাছে ডাকবে বলে’...
ফেরদৌসী রহমান ও মোস্তফা জামান আব্বাসী এক সাথে প্রথম প্লে-ব্যাক করেছিলেন এবং গানটা ছিল -নদী বাঁকা চাঁদ বাঁকা জানি.. আবদুল আলীম এবং কাজী আনোয়ার হোসেনও এই ছবিতে গান গেয়েছিলেন।
বিয়োগান্তক এক গল্পের ছবি সুতরাং। কিন্তু এই ছবিই প্রথম আন্তর্জাতিক পুরষ্কার এনে দিয়েছিল। ১৯৬৫ সালে ফ্রাংকফুর্ট আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরষ্কার পায় ‘সুতরাং’!
সৈয়দ শামসুল হক, সুভাষ দত্ত, আবদুল আলীম,কাজী আনোয়ার হোসেন, আঞ্জুমান আরা বেগম কিংবা কবরী কেউ আর বেঁচে নেই।
‘সুতরাং’ বেঁচে আছে আজও...
মন্তব্য করুন