
অস্কারের ৯৮তম আসর আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ থেকে একটি সিনেমা সেই প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করবে। এবারও পাঠানো হচ্ছে একটি সিনেমা। আর সেটি সুযোগ পেয়েছে ‘বাড়ির নাম শাহানা'।
সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত সিনেমা ‘সাবা’-ও। মাকসুদ হোসেন পরিচালিত এ সিনেমাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ প্রশংসিত হলেও এবার অস্কারের সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়নি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘বাড়ির নাম শাহানা’। ‘সাবা’র মতো এ সিনেমাটিও লন্ডন, শিকাগো, মেলবোর্ন ও মুম্বাইয়ের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে।
মেহজাবীনের ছবি অস্কারে না পাঠানোয় সামাজিকমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিচালক ও প্রযোজক আদনান আল রাজীব। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক পোস্টে তিনি লেখেন, “একটা চলচ্চিত্র যখন টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (টিআইএফএফ) এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক আসরে স্বীকৃতি পায়, অথচ বাংলাদেশের অস্কার কমিটি সেটিকে গুরুত্ব দেয় না। এটা সত্যিই হতাশাজনক। ‘বাড়ির নাম শাহানা’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে বলছি না। নিশ্চয়ই এটি একটি সুন্দর কাজ। যদি লক্ষ্য হয় অস্কারে দেশের প্রতিনিধিত্বকে শক্তভাবে দাঁড় করানো, তাহলে ‘সাবা’ নিঃসন্দেহে শক্তিশালী একটি নাম।”
তিনি যোগ করেন, ‘দুঃখজনক হলো আমাদের এসব কমিটি প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে না। যে দেশ বিশ্বমঞ্চে নিজেকে উপস্থাপন করার কৌশলই জানে না, সে দেশ কীভাবে এগোবে? আমরা এখনও তৃতীয় বিশ্বের দেশ। কারণ আমরা সামষ্টিক উন্নতির চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থকে বড় করি।’
এদিকে নির্মাতা আদনান আল রাজীবের সমালোচনার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন আরেক স্বনামধন্য নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন। তিনি এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন। নুহাশ বলেন, ‘আমি তোমার সঙ্গে একমত... ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে ‘সাবা’ ছবিটিই ভালো লেগেছে। এটি সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত। কারণ আমি ছবিটি বেশি পছন্দ করেছি।
মন্তব্য করুন