
গুলতেকিন খান তার পোস্টে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণের ভেতর দিয়ে সাবেক স্বামী প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে অতীত দাম্পত্য জীবনের কিছু দুঃখজনক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। নেটিজেনদের মাঝে এই পোস্টকে ঘিরে দ্বিমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। একপক্ষ গুলতেকিনের পাশে দাঁড়িয়ে তার যন্ত্রণার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে, অন্যপক্ষ প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতি কলুষিত করার অভিযোগ তোলে। দুই ধরনের প্রতিক্রিয়াই আহত করেছে তাদের ছেলে নুহাশ হুমায়ূনকে।
এমন তীব্র প্রতিক্রিয়ায় চুপ থাকতে পারেননি তরুণ এ নির্মাতা। শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেসবুকে নূহাশ লেখেন, কোনো শিল্পী বা সৃষ্টিশীল মানুষকে তার কাজের জন্য ভালোবাসতে পারেন। একই সঙ্গে এটাও মানতে হবে যে, তার ব্যক্তিজীবনে ঝামেলা থাকতে পারে।
নূহাশের মতে, বাস্তবতা হিসেবে দুটোই সত্য হতে পারে। মানুষ জটিল এবং ভুলপ্রবণ (আপনার প্রিয় উপন্যাসের চরিত্রগুলোর মতো)। কেউ কেউ কোটি মানুষকে আনন্দ দেয়, অথচ খুব কাছের কাউকে কষ্ট দেয়। তার মানে এই নয় যে, যে কষ্ট পেলো সে চুপ থাকবে। এমনকি এও হতে পারে না যে, যে মরে গেছে তাকে অসম্মান করা হবে।
নুহাশের এই ভারসাম্যপূর্ণ মন্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি একদিকে পিতার সৃষ্টিশীলতা ও প্রভাবের মর্যাদা দিচ্ছেন, অন্যদিকে মায়ের কষ্ট ও আত্মপ্রকাশের অধিকারকেও অস্বীকার করছেন না।
নিজের ক্যারিয়ার গড়ার পথে তিনি সবসময়ই পিতার শিল্প-ঐতিহ্য ও মায়ের সাহসিকতা—দুইয়েরই ছায়া বহন করছেন নুহাশ। এবারও বিতর্কের মুখে সংযত ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, পরিণত দৃষ্টিভঙ্গিই একজন শিল্পীর বড় পরিচয়।
সম্প্রতি হরর, অতিপ্রাকৃত, ফ্যান্টাসি ঘরানার সিনেমা নিয়ে কানাডার ফ্যান্টাজিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেন এই তরুণ নির্মাতা যেখানে তার নির্মিত ‘২ষ’ দৃশ্যায়ন হয়।
মন্তব্য করুন