
		আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়ার স্ট্যাটসের বিষয়ে মুখ খুলেছেন ইউটিউবার ও অভিনেতা সালমান মুক্তাদির। নেত্রকোণার আঞ্চালিক ভাষায় বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে কনটেন্ট তৈরি করে আসছেন রিপন মিয়া। বিশেষ করে ‘হা হা হা এটাই বাস্তব, আই লাভ ইউ’ শিরোনাম দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করে জনপ্রিয় হওয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া এবার এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এনেছেন। ফেসবুক পেজ হ্যাকিংয়ের চেষ্টা এবং প্রাণনাশের হুমকি পেরিয়ে এবার তার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) রিপন তার ফেসবুকে লেখেন, আমি রিপন মিয়া। আপনাদের ভালোবাসা ও সাপোর্টে আমি ২০১৬ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এই স্থানে আসতে পেরেছি। এই সময়ে আমার দ্বারা কারও ক্ষতি করার কোনো রেকর্ড নেই। এমনকি যেকোনো কনটেন্ট ক্রিয়েটর আমাকে ডাকলে আমি সব সময় সাড়া দিয়েছি।
তিনি যোগ করেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়তে থাকে, তখন আমার পেজ হ্যাকের চেষ্টা থেকে শুরু করে টিভিতে ইন্টারভিউ না দিলে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। রিপন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আজ সোমবার ঢাকা থেকে কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তারা কারও অনুমতি না নিয়ে আমার পরিবারকে ভিডিও করতে থাকেন এবং দূরে ক্যামেরা রেখে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করেন। এমনকি পরিবারের মহিলা সদস্য ঘরে থাকা সত্ত্বেও তারা অনুমতি না নিয়ে ঘরে ঢুকে যান।
এখানে শেষ না তিনি আরও বলেন, আমি সবসময় বলে এসেছি যে আমার শিক্ষা নেই, পড়াশোনা করতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবে আমার পরিবারের কোনো সদস্যই শিক্ষিত নন এবং কখনোই তারা মিডিয়ার মুখোমুখি হননি। আমি কোনো সময় আমার পরিবারকে ফেসবুকে দেখিয়ে টাকা আয় করতে চাইনি।
সবশেষে রিপন লেখেন, টিভি চ্যানেলের নাম চাইলেই আমি প্রকাশ করতে পারতাম। তবে কাউকে ছোট করার উদ্দেশ্য কখনোই আমার ছিল না। এই ঘৃণ্য কাজটি যারা করেছেন, তারা নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করুন। এভাবে টাকা আয় করে নিজের পরিবার ও সন্তানদের খাওয়াতে যদি আপনাদের বিবেক না জাগে, তাহলে আমারও আর কিছুই বলার নেই। সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া রাখবেন।
রিপন মিয়ার এমন স্ট্যাটসের পর অনেকেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। এবার এ ঘটনায় রিপন মিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন ইউটিউবার ও অভিনেতা সালমান মুক্তাদির। রিপনের পোস্ট শেয়ার দিয়ে তিনি লিখেছেন, ভাই, আপনার যে জ্ঞান এবং মূল্যবোধ আছে, ওটা যদি আমাদের সবার থাকত, তাহলে আজকে আমরা একটা শিক্ষিত জাতি হিসেবে পরিচিত হতাম। রিপোর্টিংয়ের নামে এই হয়রানির যে ‘সংস্কৃতি’ সেটাকে মোকাবেলা করার কোনো উপায় নেই। সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিষয়টি দেখা উচিত উল্লেখ করে সালমান আরও বলেন, তবে আমি বিশ্বাস করি, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অবশ্যই এই বিষয়টি দেখা উচিত। আর শুধু রিপন মিয়ার জন্য নয়। প্রত্যেক একক নাগরিকের এই শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকা উচিত।
সবশেষে তিনি লিখেছেন, রিপন মিয়া একজন রত্ন। আর যদি আমরা তার মতো মানুষদের যত্ন না নিই, তাহলে আমরা তাকেও হারাতে চলেছি। আমাদের আরও দয়া, আরো আন্তরিকতা, আরো যত্ন এবং আরো ভালোবাসা দরকার। দেশ এসবের সবটুকু হারিয়েছে।
মন্তব্য করুন