
এক সময়ের আলোচিত মডেল সানাই মাহবুব। তবে এখন তিনি শোবিজ ছেড়ে পুরোপুরি বদলে ফেলেছেন নিজের জীবনধারা। গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে সরে গিয়ে ব্যবসা ও চাকরির মাধ্যমে নতুনভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। এতে জীবনে বরকত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগে প্রচুর টাকা আয় করতেন, কিন্তু রাখতে পারতেন না। কিন্তু এখন প্রচুর আয় করেন না, কিন্তু প্রচুর টাকা জমে যায়।
তিনি বলেন, ‘সে সময় আমার হাত খরচ, পার্লার ও জিমে কোনো কোনো মাসে ৫ লাখ টাকাও খরচ হতো। মানে আমি এক পয়সাও জমাতে পারিনি, কিন্তু সব কিছু ছেড়ে যখন আমি কসমেটিকসের বিজনেস ও কর্পোরেট জব শুরু করলাম, নিঃসন্দেহে প্রথমে অনেক কম আয় হতো। আর এটাই স্বাভাবিক, একটা জিনিসকে দাঁড় করাতে সময় লাগে। কিন্তু মাত্র এক থেকে দেড় বছরের মাথায় আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে (না আমার ইনকাম অনেক বেশি না)।
বর্তমানে নিজের সামর্থ্য নিয়েও আত্মবিশ্বাসী সানাই বলেন, 'I can buy any luxury. আলহামদুলিল্লাহ, আমি চাইলে এখন ১৫০০ থেকে ৩০০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট কিনতে পারি, এমনকি ঢাকায় ২-৩ বিঘা জমিও কিনতে পারি। কারণ ওই যে বরকত—হালাল ইনকামের বরকত।'
সানাই মাহবুব বলেন, হ্যাঁ, আল্লাহ এভাবেই হালাল উপার্জনকারীদের সাহায্য করেন, খুব ধীরে ধীরে খুব চুপি চুপি আল্লাহ সাহায্য করেন, হ্যাঁ এটাই বরকত। ঠিক এভাবেই আমি ওমরাহ করতে চাই শিগগিরই। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমি যদি এখন ৩/৪ কোটি টাকার ফ্ল্যাট একা একাই কিনতে পারি, তাহলে অবশ্যই ওমরাহ করার পরে ১০/১৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাটও কিনতে পারব ইনশাআল্লাহ। আর হ্যাঁ, এটাই হালাল রুজি উপার্জনকারীদের প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত বড় দান। হ্যাঁ, এটাই বরকত।
হারাম আয় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সানাই বলেন, 'যারা অগোচরে হারাম ইনকাম করছেন, যেমন সুদ খাচ্ছেন বা অন্যভাবে গুনাহের পথে আছেন, তারা ছেড়ে দিন। দেখবেন আল্লাহ দুই হাত ভরে সম্পদ দেবেন। আমি কোনো আল্লাহর ওলি নই, হাফেজাও নই; আমি শুধু এক গুনাহগার মানুষ, যে প্রতিনিয়ত নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করছি।'
বর্তমানে তিনি কসমেটিকস ব্যবসা ও কর্পোরেট চাকরিতে যুক্ত আছেন। সানাই মাহবুবের এমন মন্তব্যের পর বেশ সরব হয়ে উঠে নেটিজেনরা। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অভিনেত্রীর পক্ষে এবং বিপক্ষে নানা সমালোচনা করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন