
		ফকির লালন শাহের নীতি ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে নিউ ইয়র্কে হয়ে গেলো ‘তৃতীয় আন্তর্জাতিক লালন উৎসব’। ‘লালন পরিষদ ইউএসএ’র আয়োজনে এবং ‘বাংলাদেশ ক্লাব, যুক্তরাষ্ট্রের’ সহযোগিতায় রোববার আয়োজিত এ উৎসব উৎসর্গ করা হয় সদ্যপ্রয়াত শিল্পী ফরিদা পারভীনকে। উৎসব উদ্বোধন করেন বাউলশিল্পী শফি মণ্ডল। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে উদ্বোধনের পর দলীয় নৃত্যে পরিবেশিত হয় লালনের গান ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’।
প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক হুসেন কবির। তিনি বলেন, “লালন বিশ্বসমাজকে যে বার্তা দেন, সেটি মানুষকে ভজার, মানুষকে বোঝার। আজ বিশ্বজুড়ে মানবতার যে সংকট, সেখানে লালনের দর্শন আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। তার মানবপ্রেমই রবীন্দ্রনাথকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
লালনের জীবন ও দর্শন নিয়ে বক্তব্য দেন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, কৌশিক আহমেদ ও ফজলুর রহমান, সাংস্কৃতিক সংগঠক সেলিমা আশরাফ, অভিনেত্রী ও সংগঠক লুৎফুন্নেসা লতা, শামসুদ্দিন আজাদ, জাকারিয়া চৌধুরী, শাবান মাহমুদ, শিরো বাঙালি এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার দীলিপ নাথ। উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নুরুন্নবী ও লাবলু আনসার।
অনুষ্ঠানে ফরিদা পারভীনের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে লালনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে একটি সেমিনার এবং তার জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। আয়োজক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নুরল আমিন বাবু বলেন, ধর্ম-বর্ণ-জাতীয়তার ঊর্ধ্বে উঠে লালন ফকির মানবতার যে জয়গান গেয়েছেন, তার সামান্য অংশও যদি আমরা ধারণ করতে পারি, তাহলেই এই প্রয়াস সফল হবে। আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, প্রবাসের সহযোদ্ধাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে লালন উৎসবের পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। উৎসব সঞ্চালনা করেন সোনিয়া শারমিন ও এলভিস। সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন লালন পরিষদের পরিচালক গোপাল সান্যাল, স্বীকৃতি বড়ুয়া, পিনাকি তালুকদার ও পঙ্কজ তালুকদার।
মন্তব্য করুন