
ছবিশিকারিদের দেখলেই মেজাজ হারান জয়া বচ্চন। তাঁদের কড়া বকুনি দিয়ে আটকান। সম্প্রতি রক্তচক্ষু দেখালেন তাঁর দলেরই এক কর্মীকে। তাঁর দোষ, জয়ার সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে জোরে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন জয়া। অনেকেই তাঁকে ‘বদমেজাজি’ আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু সহ-অভিনেত্রী জয়া নাকি অন্য মানুষ। জয়ার দরাজ প্রশংসা করলেন পর্দার নাতনি অঞ্জলি আনন্দ।
‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবিতে জয়া বচ্চনের নাতনি গলু রণধাওয়ার চরিত্রে অভিনয় করেন অঞ্জলি। বলা যেতে পারে, তাঁর সব থেকে বেশি সংখ্যক দৃশ্য জয়ার সঙ্গেই ছিল। বাইরে জয়ার যে ভাবমূর্তি, সে সম্পর্কে অবগত ছিলেন অঞ্জলি। কিন্তু যখন কাজ করলেন, তখন দেখেন এ যেন অন্য মানুষ। অঞ্জলি জানান, লোকে ভুল বোঝেন জয়াকে।
আসলে নাকি অমিতাভ-পত্নী এমনিতে খুবই মজার মানুষ। অঞ্জলির কথায়, ‘‘আমার বেশির ভাগ দৃশ্য ওঁর সঙ্গেই ছিল। যখনই আমার খিদে পেত, আমাকে খাইয়ে দিতেন। শটের মাঝে মজার সব কথা বলতেন। তার আশেপাশে থাকলে দারুণ মজা হয়। সেটে সবার পিছনে লাগতেন। অসম্ভব রসিক মানুষ। লোকে বাইরে থেকে যা দেখেন, তাঁর এক শতাংশও নন তিনি। অসম্ভব মিষ্টি একটা মানুষ।’’ সম্প্রতি রানি-কাজলের বাড়ির দুর্গাপুজোয় অষ্টমীর সকালে প্রথমে আলোকচিত্রীদের দেখে মুখ বেজার করেন তিনি। পরে অবশ্য কাজলের অনুরোধে হাসিমুখে ছবিও তোলেন।
সম্প্রতি, জয়া বচ্চনের কথায় কথায় এভাবে রেগে যাওয়ার কারণ জানালেন তার দুই সন্তান অভিষেক বচ্চন ও শ্বেতা বচ্চন। এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বচ্চন জানান, আজকাল বিমানবন্দরে তার মাকে দেখলে ছবি তোলার জন্য ছবিশিকারিরা হুড়োহুড়ি করেন না। বরং তার ছবি না তুলেই বিমানবন্দরের অন্দরে প্রবেশের রাস্তা করে দেন।
ভাইয়ের কথা শুনে শ্বেতা বলেন, ‘মায়ের আসলে দম আটকে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। চারপাশে বেশি লোকজন দেখলেই দমবন্ধ হতে শুরু করে, সেই কারণে এমন আচরণ করে। আসলে এটা একপ্রকারের আতঙ্ক।’
মন্তব্য করুন