
সালমান শাহ ও শাবনূর ছিলেন নব্বইয়ের দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি। চার বছরের সংক্ষিপ্ত সময়েই দুজন একসঙ্গে ১৪টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন যেমন “তুমি আমার”, “সজন সখী”, “চাওয়া থেকে পাওয়া”, “সুজন সখী”, “অন্তরে অন্তরে” ইত্যাদি। তাঁদের পর্দার রোমান্স ছিল এতটাই প্রাণবন্ত ও বাস্তবসম্মত যে দর্শকরা ভাবতেন, হয়তো বাস্তবেও তাঁদের মধ্যে প্রেম ছিল। তবে বাস্তবের প্রমাণ ততটা স্পষ্ট নয়।
সালমান শাহ ১৯৯২ সালে সামিরা হককে বিয়ে করেন। অন্যদিকে শাবনূর সে সময় নিজের ক্যারিয়ারে মনোযোগী ছিলেন। তাঁদের ঘনিষ্ঠতা মূলত ছিল সহকর্মীর মতোই, যদিও সিনেমার সেটে দুজনের পারস্পরিক বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব ও মিষ্টি সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন শাবনূর। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সালমান শাহ আর আমাকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তাঁদের উদ্দেশে শুধু বলব, এসবের কোনো কথাই সত্য নয়। সালমানের কোনো বোন ছিল না, তাই আমাকে ছোট বোনের মতোই দেখতেন। আমাকে “পিচ্চি” বলে ডাকতেন। তাঁর মা-বাবাও আমাকে খুব আদর করতেন, মেয়ের মতোই ভালোবাসতেন।’
সালমান-শাবনূরের সম্পর্ক ভাইবোনের মতো ছিল বলে জানান সালমান শাহর সেই সময়ের সহকারী মুনসুর আলী । বলেন, ‘আমি সাড়ে চার বছর সালমান ভাইয়ের সঙ্গে ছিলাম। তাঁদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে কিছু জানি না। বরং ভাই সব নায়িকাকেই সম্মান করতেন। শাবনূরকে প্রথম দেখেই বলেছিলেন, “আমার তো কোনো বোন নেই, তুমি আমার ছোট বোনের মতো।"
সালমানের সঙ্গে শাবনূরের প্রথম দেখা হয়েছিল এফডিসিতে, সেদিন মৌসুমীর সঙ্গে সালমানের শুটিং চলছিল। পরবর্তী সময়ে ‘তুমি আমার’ ছবিতে সালমানের সঙ্গে কাজের সুযোগ হয় শাবনূরের। সেই ছবির সাফল্যের পর দর্শকেরা তাঁদের নতুন জুটিকে ভালোবাসতে শুরু করেন। শাবনূর বললেন, ‘আমাদের বোঝাপড়াটা ছিল অসাধারণ, একই দৃশ্যে আমরা একে অন্যের চোখের ইশারা বুঝতে পারতাম।’
আসলে সালমান শাহ ও শাবনূরের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও পর্দার রোমান্টিক রসায়ন ছিল সত্য, তবে তাদের মধ্যে বাস্তব প্রেমের সম্পর্কের কোনো নিশ্চিত প্রমাণ বা স্বীকারোক্তি কখনো পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন