
আজ, ২ নভেম্বর, বিশ্বের কোটি ভক্তের প্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খান-এর জন্মদিন। ১৯৬৫ সালের এই দিনে ভারতের নতুন দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সময়ের পরিক্রমায় শাহরুখ খান আজ শুধু বলিউড নয়, গোটা বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে হয়ে উঠেছেন “বলিউডের বাদশাহ”, “কিং খান” ও “রোম্যান্সের রাজা” নামে পরিচিত এক অনন্য আইকন।
শাহরুখ খানের অভিনয়জীবনের সূচনা ছোট পর্দা থেকে। ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে টেলিভিশন নাটক “ফৌজি” ও “সার্কাস”-এ অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দর্শকের নজরে আসেন। পরে ১৯৯২ সালে “দিওয়ানা” সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। সেখান থেকেই শুরু হয় এক কিংবদন্তির যাত্রা।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউড দাপিয়ে বেড়ানো এই তারকা উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র—দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, কুচ কুচ হোতা হ্যায়, কাল হো না হো, মাই নেম ইজ খান, চেন্নাই এক্সপ্রেস, পাঠান এবং জওয়ান—যা তাকে একাধারে রোমান্টিক নায়ক ও অ্যাকশন হিরো হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ক্যারিয়ারের উত্থান-পতনের মাঝেই ২০২৩ সালে ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’-এর সাফল্যে আবারও প্রমাণ করেছেন তিনিই প্রকৃত বাদশা। ‘জওয়ান’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা ও বিজ্ঞাপনে কাজ করে বলিউডের সবচেয়ে ধনী তারকায় পরিণত হয়েছেন শাহরুখ। হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট-২০২৫ অনুসারে তাঁর সম্পদ ১২ হাজার ৪৯০ কোটি রুপি।
শুধু অভিনেতা নয়, শাহরুখ খান একজন সফল উদ্যোক্তাও। তিনি রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) ক্রিকেট দলের যৌথ মালিক। পাশাপাশি দাতব্য কর্মকাণ্ডেও তিনি নিয়মিত যুক্ত—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারী-সক্ষমতা উন্নয়নে তার বিভিন্ন উদ্যোগ প্রশংসিত।
প্রতি বছর তার জন্মদিনে মুম্বাইয়ের মান্নাত বাড়ির সামনে ভক্তদের ভিড় জমে। আজও ব্যতিক্রম হয়নি। ভোর থেকেই হাজারো মানুষ “হ্যাপি বার্থডে কিং খান” লেখা ব্যানার ও পোস্টার হাতে জমায়েত হয়েছেন সেখানে। শাহরুখ খান বর্তমানে নতুন কিছু আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন। বয়স ৬০ ছুঁলেও তার উদ্যম, ক্যারিশমা ও জনপ্রিয়তা যেন দিন দিনই বেড়ে চলেছে।
ভক্তদের একটাই প্রত্যাশা—বলিউডের এই চিরসবুজ বাদশাহ যেন আরও বহু বছর জুড়ে পর্দায় রাজত্ব করতে পারেন স্বগৌরবে।
মন্তব্য করুন