
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিক যে অবৈধ তহবিল তৈরি করেছেন তা উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরইমধ্যে তদন্ত ১২টি দেশে বিস্তৃত করেছে সংস্থাটি। এতে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরও কয়েকটি দেশ। ভিন্ন আরেক প্রতিবেদনে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে বাংলাদেশে অন্তত পাঁচটি সম্পত্তির সাথে টিউলিপের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ অল্প সময়ের জন্য সিটি মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ছিল তার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। দুর্নীতির অভিযোগে গেল মাসে পদ হারিয়েছেন শেখ হাসিনা ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। তবে এখনো বাংলাদেশে তার খালার স্বৈরাচারী শাসনের সাথে যোগসূত্র ও অবৈধ সম্পদ বিষয়ক প্রশ্নের মুখে পড়ছেন তিনি। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে চলছে তদন্ত।
মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের অবৈধ অর্থ জব্দ করবে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে এ নিয়ে কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। স্থানীয় সময় রোববার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের তদন্ত ১২টি দেশে বিস্তৃত করেছে দুদক। তবে, কোন কোন দেশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা এখনও জানায়নি সংস্থাটি। তদন্ত কাজে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য দেশ থেকে সহায়তার আশ্বাস পেয়েছে দুদক।
এদিকে জানুয়ারির শেষ দিকে দুদকের তদন্তকারীদের সহায়তা করার জন্য বেশ কয়েকদিন ঢাকায় কাটিয়েছেন ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কর্মকর্তারা। দুদক মহাপরিচালক আখতার হোসেনের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ তদন্ত করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছে। যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশসহ বিদেশি উৎস থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করছে সংস্থাটি। প্রাথমিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, পাচারকৃত অর্থ কেবল যুক্তরাজ্যেই নয়, বরং বিভিন্ন গন্তব্যে স্থানান্তরিত হয়েছে।
এছাড়া, গুলশানে একটি বিলাসবহুল ভবনের বাসিন্দাদের তালিকায় টিউলিপের নাম পাওয়া গেছে। ভিন্ন এক প্রতিবেদনে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ২০১৪ সালে টিউলিপ লন্ডনের ক্যামডেন কাউন্সিলের সদস্য থাকাকালে ঢাকার কর্মকর্তারা ভবনটিকে তার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেন। আদালতের নথি ও সংবাদ প্রতিবেদনে এর আগে বাংলাদেশে আরও চারটি সম্পত্তির সঙ্গে টিউলিপের নাম এসেছে। যদিও লেবার পার্টির সূত্র দাবি করেছে, টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশে কোনো সম্পত্তির মালিক নন এবং সেসব ঠিকানার মালিকানা তার নয়। সুতরাং সেসব বিষয়ে তাকে কোনো ব্যাখ্যা দিতে হবে না।
মন্তব্য করুন