
ইরান-ইসরাইল সংঘাত প্রতিনিয়ত তীব্র হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ইসরাইলে বড় ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। বৃহস্পতিবার সকালে চালানো ওই হামলায় ইসরাইলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমান্ড অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্সের সদর দফতর (আইডিএফ সি৪১) এবং গ্যাভ-ইয়াম টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত সামরিক গোয়েন্দা শিবির মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর আল জাজিরা’র।
আল জাজিরা’র খবরে বলা হয়, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো দক্ষিন ইসরাইলে বে’র শেভায় সোরোকা হাসপাতালের পাশে অবস্থিত। অবশ্য আইআরএনএ দাবি করেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে সৃষ্ট ‘শকওয়েভের কারণে’ হাসপাতাল সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘সামরিক (ইসরাইলি) অবকাঠামো ছিল এ হামলার সুনির্দিষ্ট এবং সরাসরি লক্ষ্যবস্তু।
যদিও ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের দাবি, সোরোকা হাসপাতালে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে বহু হতাহতের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। সোরোকা মেডিকেল সেন্টারের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়াকে ‘একটি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড’ বলে অভিযোগ করেছেন ইসরাইলি স্বাস্থ্যমন্ত্রী উরিয়েল বুসো।
ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন বহর নিক্ষেপের পরপরই জেরুজালেম এবং তেল আবিবে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে ইসরাইল-ইরান সংঘাতের মধ্যে আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেকে। বিকল্প হিসেবে সাগরপথে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের। অন্যদিকে, প্রথম ফ্লাইটে নিজ দেশে ফিরেছেন অনেক ইসরাইলি। ‘অপারেশন সেফ রিটার্ন’ নামে ইসরাইলের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে চলছে এই উদ্ধার অভিযান।
উল্লেখ্য পাল্টাপাল্টি হামলায় কাঁপছে ইরান ও ইসরাইল। ১৮ জুন বুধবার রাতভর তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় তেহরান। বিষয়টি নিশ্চিত করে এসব হামলা প্রতিহতের দাবি করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
মন্তব্য করুন