
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। বিশ্ববাসীর নিন্দা সত্ত্বেও নিয়মিত হামলায় গাজা এখন যেন মৃত্যুপুরী। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত এ পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ৫৮ হাজারেরও বেশি। এদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। বাদ যায়নি সাংবাদিক, চিকিৎসক, ত্রাণ বিতরণকারী স্বেচ্ছাসেবী ও মানবাধিকার কর্মীরাও।
১৩ জুলাই রোববার ভোর থেকে প্রায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত আরও ১শ’ ফিলিস্তিনির। এদিন গাজা সিটির জনসমাগম এক বাজারে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে প্রাণ হারায় অন্তত ১২ জন। হামলায় এক স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ।
মিসাইল হামলা করা হয় গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে খাবার পানির জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের উপর। যেখানে শিশুসহ মৃত্যু হয় ১০ জনের। অপরদিকে, হামাস সদস্যদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া মিসাইল যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেখানে গিয়ে পড়েছে বলে দাবি আইডিএফ’র।
ইসরায়েলের ব্লকেড ও লাগাতার হামলায় গাজায় দেখা দিয়েছে তীব্র জ্বালানি সংকট। হাসপাতাল, যানবাহনসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবা চালু রাখতে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দ্রুত জ্বালানি সরবরাহের কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
মন্তব্য করুন