
পদত্যাগ করেছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় । সোমবার রাতে তিনি পদত্যাগ করেন বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে তিনি জানিয়েছেন। পদত্যাগপত্র তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠিয়ে দেন। সোমবারই শুরু হয় সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন।
পদাধিকারবলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সোমবার বেলা ১১টার সময় যথারীতি তিনি রাজ্যসভায় আসেন। সভার কাজও শুরু করেন। শুরু থেকেই বিরোধীরা পেহেলগাম-কাণ্ড ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার দাবি জানাতে থাকেন।
উপরাষ্ট্রপতি বিরোধী নেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দাবির সমর্থনে কথা বলার সুযোগও করে দেন। তারপর তিনি বলার সুযোগ দেন সভার নেতা বিজেপির জেপি নাড্ডাকেও। হইচইয়ের মধ্যে চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় দুপুর ১২টা পর্যন্ত সভার কাজ মুলতবি করে দেন। তারপর তিনি আর সভায় আসেননি। রাতে রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যের কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। পদত্যাগপত্র অবিলম্বে কার্যকর করার কথা লিখেছেন।
চিঠিতে তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সব সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। লিখেছেন, উপরাষ্ট্রপতি থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছেন। অনেক কিছু শিখেওছেন। আর লিখেছেন, সংসদ সদস্যদের উষ্ণতা, আস্থা ও স্নেহ তাঁর স্মৃতিতে চিরকাল অমলিন থাকবে।
উপরাষ্ট্রপতি পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়কালে ভারতের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছেন। এই উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করা ও অংশ নেওয়া তাঁর কাছে সৌভাগ্য ও তৃপ্তির বিষয়। এ জন্য নিজেকে তিনি ভাগ্যবান মনে করেন।
বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে জগদীপ ধনখড় ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ২০২৭ সাল পর্যন্ত। উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্বও পালন করেছিলেন।
মন্তব্য করুন