বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ত্যাগ করবে না হামাস

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫২ এএম

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের প্রতিরোধের পূর্ণ অধিকার রয়েছে হামাসের। তাই যতদিন না জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ও পুরোপুরি সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন না হবে, অস্ত্র ত্যাগ করবে না তারা। একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ত্যাগ করবে না বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ২ জুলাই শনিবার এক বিবৃতিতে সাফ জানিয়ে দিয়েছে স্বাধীনতাকামী এ সংগঠনটি। এ ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ করতে ইসরায়েলের জানানো একটি প্রধান দাবি প্রত্যাখ্যান করল হামাস।

এছাড়া হামাস যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফের গাজা সফরের সমালোচনাও করেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান শর্ত হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। তবে শুরু থেকেই এই ইস্যুতে অনড় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনটি। গত সপ্তাহেই ভেস্তে যায় হামাস-ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা।গাজা যুদ্ধে ৬০ দিনের অস্ত্ররিবতি ও জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি করার উদ্দেশে কাতারের দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষা আলোচনা গত সপ্তাহে অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশর মঙ্গলবার ফ্রান্স ও সৌদি আরবের একটি ঘোষণা অনুমোদন করে। ওই ঘোষণায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধানে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীক সমাধানের দিকে পদক্ষেপের রূপরেখা তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়েছে, এর অংশ হিসেবে হামাসকে অবশ্যই তাদের অস্ত্র পশ্চিমা সমর্থিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে হবে।

কিন্তু হামাস তাদের বিবৃতিতে বলেছে, জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, পুরোপুরি সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সশস্ত্র প্রতিরোধের অধিকার ত্যাগ করা হবে না। হামাস ২০০৭ সাল থেকে গাজা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে কিন্তু চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলায় সামরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামাসকে নিরস্ত্র করা এই যুদ্ধ শেষ করতে কোনো চুক্তির একটি প্রধান শর্ত হবে বলে বিবেচনা করে ইসরায়েল। কিন্তু হামাস বারবার বলে আসছে, নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র নামিয়ে রাখার ইচ্ছা তাদের নেই।

গত মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কোনো ভবিষ্যৎ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার একটি প্ল্যাটফর্ম বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই কারণে ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতেই থাকতে হবে। ইসরায়েলের আক্রমণ ও অবরোধের কারণে গাজা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন। রাষ্ট্রগুলোর এই পদক্ষেপ হামাস যা করেছে তার পুরস্কার হবে মন্তব্য করে এর সমালোচনা করেছেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নেতৃত্বধীন এক নজিরবিহীন আক্রমণে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে ২৫১ জনকে ধরে গাজায় এনে জিম্মি করে রাখে হামাস।এর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলি বাহিনী ওই দিন থেকেই গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে। তারপর থেকে ২২ মাস ধরে চলা নির্বিচার হামলায় তারা গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে, হত্যা করেছে ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে আর ভূখণ্ডটি এখন ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।দুই পক্ষের মধ্যে সর্বশেষ পরোক্ষ আলোচনা অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার পর এর জন্য পরস্পকে দায়ী করেছে ইসরায়েল ও হামাস।সর্বশেষ হামাস জানিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত নিরস্ত্রীকরণে রাজি নয় তারা ।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষ কে এই জনাথন বেইলি
বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষ কে এই জনাথন বেইলি
যে কারণে প্রশংসায় ভাসছেন কেবিন ক্রু
যে কারণে প্রশংসায় ভাসছেন কেবিন ক্রু
সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি আর নেই
সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি আর নেই
নেপালে তুষারঝড়-ধসে ৯ পর্বতারোহী নিহত
নেপালে তুষারঝড়-ধসে ৯ পর্বতারোহী নিহত