
উত্তর আফগানিস্তানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত সাতজন নিহত ও দেড়শর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোরে সামাঙ্গান প্রদেশের নাখচির জেলায় এই ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার কম্পন রাজধানী কাবুলসহ আশপাশের প্রদেশেও অনুভূত হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক মানুষ আটকে আছেন। তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এতে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং দ্রুত ত্রাণ কার্যক্রমের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬-এর বেশি এবং এর উপকেন্দ্র ছিল সামাঙ্গান প্রদেশের নাখচির জেলায়।
সামাঙ্গান প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র সামিন জোইয়েন্দা জানান, এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫০ জন আহত এবং ৭ জন নিহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
উত্তরাঞ্চলের আরেক প্রদেশ বলখের মুখপাত্র হাজি জাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যায় মানুষজন বেলচা দিয়ে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে বেঁচে থাকা লোকদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
তিনি লিখেছেন, “বলখের শুলগারা জেলায় আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। অনেক মানুষ আহত হয়েছেন, আর ৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গেছে।”
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, কম্পন প্রায় ২০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। ভূমিকম্পটি এত শক্তিশালী ছিল যে রাজধানী কাবুলসহ আশপাশের প্রদেশগুলোতেও এটি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের ফলে সামাঙ্গান-বলখ মহাসড়কে একটি ভূমিধসও হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ওই রুটে চলাচলকারীরা আটকে পড়ে।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মহাসড়ক জুড়ে বিশাল পাথর পড়ে আছে এবং একটি ট্রাক আগুনে পুড়ছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে এ অঞ্চল। গত আগস্টে পূর্ব আফগানিস্তানে এক ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকাংশই এখনো তাঁবুতে বসবাস করছেন।
মন্তব্য করুন