
এবার ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক নূর আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর নামে প্রতারণার মাধম্যে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে গতকাল রোববার গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায় ব্যবসায়ী নূর আলী ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত শতকের আশির দশকে জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমেই তার ব্যবসার শুরু হয়েছিল। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় ‘জনশক্তি রপ্তানি সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য’ ইউনিক ইস্টার্নের মালিক নূর আলীসহ সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি ৭১ লাখ টাকার ‘সংঘবদ্ধ প্রতারণার প্রাথমিক প্রমাণ’ মিলেছে। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগ এ মামলা তদন্ত করছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, নূর আলী এবং অন্যরা মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন। ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ২ বছরে তারা ৩ হাজার ৭৮৭ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে।
সরকারি ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও নূর আলীসহ অভিযুক্তরা জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন। সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ টেস্ট, মেডিকেল ফি ও পোশাক সংক্রান্ত ফিয়ে নামে অতিরিক্ত খরচ আদায় করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন