
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাজারে এখনো চালের দাম ঊর্ধ্বমূখী। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের বাজার অস্থিরতার জন্য দায়ী বড় কোম্পানিগুলো।
এদিকে বেড়েছে মুরগী ও পেঁয়াজের দাম। কমেছে শীতের সবজির দাম। বাজারে তেল সরবরাহের সংকটও কেটেছে। তবে, বিভিন্ন পণ্যে বাড়তি ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপের সরকারি সিদ্ধান্তে দুশ্চিন্তায় ভোক্তারা।
চালের বাজার অস্থিরতার ভরা মৌসুমেও কাঙ্খিত লাভ মিলছে না খুচরা ব্যবসায়ীদের। রাজধানীর প্রতিটি চালের দোকানে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে সব ধরনের চালের। কিন্তু করপোরেট ব্যবাসায়ীর চালের বস্তা বেশি দেখা যাচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও দাম বাড়ার কারণ করপোরেট কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেট।
এদিকে, বাজারে কেটেছে সয়াবিন তেলের সংকট। প্রতিটি দোকানের সামনে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির তেল। তারপরও অভিযোগ রয়েছে, দু’য়েকটি কোম্পানি তেল সরবরাহ দিচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। আর ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগীর দাম বেড়েছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার ২১০-২২০ আর সোনালি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকায়।
শীতের ছোঁয়ায় কিছুটা শীতল হয়েছে সবজির বাজার। মটরসুঁটি ১শ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও, অন্য সব সবজি পাওয়া যাচ্ছে কেজিতে ৪০ টাকার মধ্যে।
রমজান সামনে রেখে এখন থেকেই বাজার মনিটরিং করা উচিত বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। পণ্যে নতুন করে ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করা হলে বাড়তি চাপ যুক্ত হবে বলে আশঙ্কা তাদের।
মন্তব্য করুন