
নিজস্ব সংবাদদাতা: পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও তার পরিবারের ২২টি ফ্ল্যাট, ২টি বাড়িসহ স্থাবর অস্থাবর সব সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এদিন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য চেয়ে সব মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খানের ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যও পেয়েছে সংস্থাটি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দেড় দশকের শাসনের অবসানের পর সমালোচিত ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করে সরকার।
বিগত সরকারের সময় আর্থিক খাতে সুবিধা পাওয়া নাফিজের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে নাফিজ ও তার পরিবারের সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টার তথ্য মেলে। এ কারণে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেনের আদালত নাফিজ সরাফত, তার স্ত্রীর সন্তান ও পরিবারের নামে থাকা সব সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।
এদিকে, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের অনেকের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এজন্য অপরাধীদের সনাক্ত করতে তাদের বিষয়ে জানতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় চিঠি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, সম্পদের তথ্য গোপন, অর্থ পাচার ও ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনর অভিযোগে মাগুরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর, তার পরিবার এবং গাইবান্ধা ৪ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। একই অভিযোগে ফরিদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার শাজাহানের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খানের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন