
সাজ্জাদুর রহমান : জানুয়ারি মাসের শেষে বা ফেব্র“য়ারি মাসের হতে পারে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল। নেতৃত্বে আসতে পারে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধীদের পরিচিতি মুখরাই। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা পূরণেই রাজনীতির মাঠে নামছেন তরুণরা। দুই সংগঠন থেকে পদত্যাগ করার পর রাজনৈতিক দলে যুক্ত হতে হবে। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, আস্থা অর্জনে নতুন দলকে আদর্শিক অবস্থান পরিস্কার করতে হবে।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে রাজপথে নেমে আসেন ছাত্র-জনতা। শ্রেণী বৈষম্য ভুলে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে ছিলেন নির্ভীক। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এদের অনেকেই সম্পৃক্ত হন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে। দেশব্যাপী আলোচনায় আসে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আসছে রাজনৈতিক দল।
জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করে আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে। ১৪৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও এখন পর্যন্ত ২’শটি থানায় কমিটি করেছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের একত্রিত করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এখন পর্যন্ত দেশের ১৭টি জেলা, ৩টি মহানগর, একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটে আহবায়ক কমিটি করেছে তারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ বলেন, চোখে মুখে স্বপ্ন তারুণ্যের আকাঙ্খা বাস্তবায়নের।
২৪ এর অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরে গঠিত নাগরিক কমিটির বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা নেই শিক্ষার্থীদের। দুই সংগঠনের পরিচিত মুখগুলোকে দেখা যেতে পারে নতুন দলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশীদজানিয়েছেন, ক্ষমতা পালাবদল নয়, তরুণদের নেতৃত্বকে বেছে নিতে চাচ্ছে জনগণ।
বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দলগঠন নতুন কোনো বিষয় নয়। কখনো আওয়ামী লীগ আবার কখনো বিএনপি ভেঙ্গে অনেকেই চেষ্টা করেছেন। আবার নিকট অতীতে কোটা আন্দোলন ও পরে ডাকসুর ভিপি হয়েও দলগঠনের ঘটনা ঘটেছে। রাজনীতিতে এদের প্রভাব কতটা সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুরুল আমিন বলেন, তবে সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট পুরোই ভিন্ন। স্বৈরাচার বিরোধী ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান এবং রাজনীতির মাঠ থেকে আওয়ামী লীগের পলায়ন তৈরি করেছে নতুন বাস্তবতা। এই মুহুর্তে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৮টি। যার কয়েকটি নিবন্ধিত হয়েছে গেলো বছরের ৫ আগস্টের পর।
মন্তব্য করুন