
মিরসরাই সংবাদদাতা: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কৃষি জমি কেটে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। এলাকাবাসীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ফুট গর্ত করে ইটভাটার মাটি নিয়ে যাচ্ছে ভূমিদস্যুরা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই যত্রতত্র ভাবে ইটভাটা গড়ে উঠায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। কালো ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।
মিরসরাইয়ের ৮ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নে রয়েছে ৫টি ইটভাটা। এরমধ্যে দুটি বন্ধ থাকলেও কেবিআই, জেএমবি ও এজবিকে ওয়ান ভাটা তিনটি সচল। এসব ইটভাটার মাটির জোগান দিতে কাটা হচ্ছে কৃষি জমি। আর কাজটি করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে দুর্গাপুর ইউনিয়নের জীববৈচিত্র্য। কালো ধোঁয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা
কৃষি জমির মাটি কেনা ও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ইটভাটার মালিকরা। কেউ কেউ নিজ মুখে স্বীকার করেন অবৈধভাবে ইটভাটা চালানোর কথা। আর অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে বৈশাখী টেলিভিশনকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালান কেবিআই ইটভাটার মালিক জসিম উদ্দিন।
এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ চাইলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ন সম্পাদক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
অবৈধ ইটভাটা বন্ধ এবং কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন