
সালমা জাহান মুক্তা : সম্প্রতি দেশে অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেড়েছে। হার্টের সমস্যা নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই কম বয়সি। গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০-৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ মানসিক অবসাদ বা দুশ্চিন্তা। আর বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণেই বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
নিজের ব্যবসা আর পরিবার নিয়ে বেশ ভালোই চলছিল জাকির হাসানের জীবন। বছর খানেক আগে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে শিকার হন হার্ট অ্যাটাকের। তারপর থেকে অসুস্থতাই সঙ্গী তার।
ধুমপানে একটু বেশিই আসক্তি ছিলো জাকিরের। সেই ধুমপানই তার হৃদরোগের মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায় ,বাংলাদেশে বছরে মোট মৃত্যুর ৩৪ শতাংশের জন্য দায়ী হৃদ্যন্ত্র ও রক্তনালির রোগ। সংখ্যার বিচারে তা প্রায় ৩ লাখ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণ-তরুণীদের হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে পরিবর্তনশীল জীবনধারা, ধুমপান বা তামাক গ্রহণ, খাদ্যাভ্যাস, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ, শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়ামের অভাব।
চিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রতি ৫ জন তরুণের একজন হৃদরোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া হার্ট অ্যাটাকে গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি মানুষ মারা যায়। এর কারণ হচ্ছে-শহরে বসবাসকারীদের অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা, মানসিক চাপ, এবং দূষণের মাত্রা বেশি।
একবার হার্ট আক্রান্ত হয়ে ভালো হলেও, সারা জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। হার্টকে ভালো রাখতে হলে সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান এই চিকিৎসক। হৃদরোগ প্রতিরোধের তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসা সহজলভ্য করারও পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ।
মন্তব্য করুন