
ফরিদপুর সংবাদদাতা: কৃষক পরিবারে জম্ম হলেও এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পদ বাণিজ্য, চাদাঁবাজি, জমি দখলসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৮ সালে প্রথমবার এমপি হয়ে স্ত্রী সন্তানদের নামে গড়ে তুলেন সম্পদের পাহাড়। সব কিছুই করেছেন ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে। এমনকি গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাহিনী । বলছি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের কথা। বিশেষ করে বিরোধীদল দমনে নিজ বাহিনী ছাড়াও পুলিশ দিয়ে হামলা-মামলা দিয়ে নির্যাতন চালাতেন এই মন্ত্রী।
ফরিদপুর সরকারি ইয়াসিন কলেজে পড়াশুনার সময় জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন আব্দুর রহমান। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বাগিয়ে নেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নে কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া আবদুর রহমান পৈতৃক সূত্রে ভিটেবাড়িসহ কয়েক বিঘা জমির মালিক হলেও ২০০৮ সালে প্রথমবার এমপি হওয়ার পর থেকেই বাড়তে থাকে তার সম্পদ । রাজধানীসহ তার নিজের এলাকায় রয়েছে স্ত্রী সন্তানদের নামে প্রচুর সম্পত্তি।
২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্ধতায় দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হন। তবে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ থাকায় ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়ে শেখ হাসিনা সরকারের মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এরপর থেকে আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেন আব্দুর রহমান।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে জমি দখলের অভিযোগও। নিজের এবং সন্তানদের নামে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ব্রাহ্মণকান্দায় ‘আবদুর রহমান টেকনিক্যাল কলেজ’ ও ‘আয়েশা-সামি’ জেনারেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। সরকারি জমি দখল করে প্রভাব খাটিয়ে কলেজের নামকরণ করেন তিনি। বিভিন্ন স্কুল কলেজের নাম জোরপূর্বক তার বাবা মা এবং পরিবারের সদস্যদের নামে করারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আবদুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা হওয়া নিয়েও রয়েছে বিস্তর সমালোচনা।
এদিকে, আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে দুদক।
মন্তব্য করুন