
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা: একটি সেতু মেরামত না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন লক্ষ্মীপুর সদর ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী সাত গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দু’বছর আগে মাটিবাহী ট্রাক পড়ে সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দুই পারের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা। পরবর্তীতে ভাঙা সেতুতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছে স্থানীয়রা।
২০০৮ সালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের সাথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে রহমতখালি খালের উপর সেতু নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। তবে নির্মাণের ১৫ বছর পর ২০২৩ সালে সেতুটির মাঝের অংশ ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা নিজস্ব অর্থায়নে ভাঙা স্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল শুরু করে।
বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার গনিপুর, রাজাপুর, ছোট বল্লভপুর ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানুল্লাহপুর, কামালপুর, দেবীদেবপুর ও বালুচরা গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ভাঙা এ সেতু দিয়ে চলাচল করে। তবে বৃষ্টি হলেই সাঁকোটি যাতায়াতে অনুপযোগী হয়ে পড়ে বলে জানায় স্থানীয়রা।
দুই পাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন বেগমগঞ্জ আলেয়াপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোফাসেল হোসেন মশু
এদিকে ভাঙ্গা অংশে সড়ক নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানালেন এলজিইডির কর্মকর্তা মো: ইকরামুল হক
দুই জেলার ৭ গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতে দূর্ভোগ লাগবে সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
মন্তব্য করুন