
বিভক্তি নয়, দেশের উন্নতি ও মঙ্গলের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে তিনি এ কথা জানান। বৈঠক শেষে ডিসেম্বরের মধ্যে আবারো নির্বাচনের দাবির কথা জানায় বিএনপি। তবে জামায়াত বলছে, এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। আর, আগামী ৫ আগস্টের আগেই জুলাই সনদের দাবি জানিয়েছে এনসিপি। রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে সোমবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। বৈঠকের শুরুতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, সংস্কার কমিশনের দেয়া সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রস্তাবে ঐকমত্য করেই জুলাই সনদ তৈরি করতে চান তারা। ঘণ্টাখানেক চলে বৈঠক। এরপর একে একে বেরিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান রাজনৈতিক দলের নেতারা। সরকারের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব সাধারণ মানুষের মাঝে শঙ্কা তৈরি করছে বলে জানান সংলাপে অংশ নেয়া বিভিন্ন দলের নেতারা। এসময়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই সনদের দাবি করে এনসিপি। দলটির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রয়োজন। সংবিধান সংস্কার ছাড়া সব সংস্কার একমাসের মধ্যে করা সম্ভব, তাই ডিসেম্বরের বাইরে নির্বাচন যাওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছে বিএনপি। তবে, জামায়াত বলছে অন্যকথা। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চায় তারা। এদিন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মঙ্গলবার থেকে বৈঠক করবে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসে ‘জুলাই সনদ’ তৈরি করার লক্ষ্য ঐকমত্য কমিশনের।
মন্তব্য করুন