
নোয়াখালীতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন কারুপণ্য। হোগলা পাতার পণ্য যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। কুটির শিল্পের এসব পণ্য তৈরিতে অবদান রাখছেন নারীরাও। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া, আন্ডারচর, পূর্ব চরমটুয়া, কালাদরাফ, এওজবালিয়া ও কাদিরহানিফ ইউনিয়নে প্রায় দেড়শ বছর ধরে আবাদ হচ্ছে হোগলা পাতা। কারুপণ্যে এর চাহিদার কারণে দিন দিন বাড়ছে আবাদ।
জমি থেকে কাঁচা পাতা কেটে শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। সংসারে কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয় হওয়ায় এই বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ।
হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি দড়ি ও চাটাই পাইকারদের মাধ্যমে চলে যায় বিভিন্ন জেলায়। সেসব জায়গায় উৎপাদিত পণ্য যাচ্ছে কানাডা, চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, ইতালি’সহ বিভিন্ন দেশে।
সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে এ খাতে আরও বিনিয়োগ সেই সাথে বাড়বে রফতানি আয় এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার ১১৫ হেক্টর জমিতে হোগলা পাতার চাষ করা হয়েছে।
প্রতি বিঘা জমিতে হোগলা চাষে খরচ হয় ৫ হাজার টাকা। আর পাতা বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার।
মন্তব্য করুন