বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

জাতীয় সংসদের ভোট কবে?

বৈশাখী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৩ পিএম
জাতীয় সংসদের ভোট কবে?
জাতীয় সংসদের ভোট কবে?

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সকল কেনাকাটার প্রস্তুতিও শেষ করেছে ইসি। নির্বাচন সামগ্রী কেনাকাটা সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক ঘোষিত সময়সূচী অনুযায়ী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট হবে।

নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ:

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট ৫, ৮ ও ১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে। এই তিনটি তারিখকে চূড়ান্ত করে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই তারিখগুলো কমিশন সভায় আলোচনা করা হবে। তবে কমিশন চাইলে ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারিও নির্বাচন করতে পারে। ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা ফেব্রুয়ারির ৬ টি তারিখকে উপযুক্ত বিবেচনা করে কমিশন সভায় উপস্থাপন করবেন বলে জানা গেছে।

তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময়:

জানা যায়, গত ১২টি নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর সর্বনিম্ন ৩৭ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৬৮ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার রেকর্ড রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তাই যদি ভোট ৫ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়, তাহলে তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরে মধ্যে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নভেম্বরের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ অন্যান্য প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ৯ম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল হবে।

নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাবিত তারিখ:

সূত্র আরও জানায়, নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা ভোটের সম্ভাব্য ছয়টি তারিখের বিষয়ে কমিশনকে জানিয়েছে। তথ্যানুযায়ী, ৫, ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি সংসদ ভোট করার সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে কমিশনকে জানানো হয়। এই তারিখগুলো নির্ধারণের ক্ষেত্রে গত ১২টি সংসদ ভোটের দিনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিগত ১২টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ৪টি নির্বাচন হয়েছে রোববারে, ৪টি বুধবার, ২টি সোমবারে ও ২টি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিবেচনায় আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি হচ্ছে বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি রোববার, ৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার এবং ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে ভোটারদের ভোট দেয়ার সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ছুটির আগে বা পরে ভোটের দিন নির্ধারণে গুরুত্ব দিতে পারে কমিশন।

এক প্রশ্নে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ভোটের পরে রোজার আগে ৭ থেকে ১০ দিন সময় হাতে রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন। কারন, ভোটের দিন অনিয়ম, মারামারি বা হানাহানির কারনে যেসব কেন্দ্রে বা আসনে ভোট বন্ধ অথবা স্থগিত করা হবে, সেসব কেন্দ্র বা আসনে এক সপ্তাহের মধ্যে ভোট শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। এছাড়া নির্বাচনের গেজেট প্রকাশের পর যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পাবে তাদের সরকার গঠন করতেও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।

শীঘ্রই কমিশন সভায় চূড়ান্ত আলোচনা হবে ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘অধিকৃত অঞ্চল’ হিসেবে উপস্থাপন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন
সরকারের বিবৃতি / পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘অধিকৃত অঞ্চল’ হিসেবে উপস্থাপন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন
জলবায়ু তহবিলের ৮৯১ প্রকল্পে ২১১০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি: টিআইবি
জলবায়ু তহবিলের ৮৯১ প্রকল্পে ২১১০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি: টিআইবি
ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে এনসিপিসহ তিন দল: ইসি সচিব
ইসির নিবন্ধন পাচ্ছে এনসিপিসহ তিন দল: ইসি সচিব
‎আগামী সাপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে 
‎আগামী সাপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে