
সিলেট জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে লুট হওয়া সাদা পাথর পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতেই শুরু হয়েছে অভিযান। আশপাশের এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া সাদা পাথর নৌকা করে নদীর পাড়ে রাখতে দেখা গেছে পাথর শ্রমিকদের।
এ সময় সেনাবাহিনীর একটি দল সাদা পাথর এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে সিলেট কোম্পানীগঞ্জ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাকে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিলেট সেনা নিবাসের ৩৪ বীর মেজর মো. রাজিব হোসাইন বলছেন, এরই মধ্যে চুরি হওয়া পাথর অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রমাণও মিলেছে। যেসব পরিবহনে সাদা পাথর পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো জব্দ করে অভিযান শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এর আগে বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউজে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকানো এবং লুট হওয়া পাথর সাদা পাথরে পুনঃস্থাপনে পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ। তিনি বলেন, সাদা পাথর রক্ষায় ৫টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ২৪ ঘণ্টা সাদা পাথর এলাকায় যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্ট যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে। পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে।
এদিকে পাথর লুটের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে সিলেট প্রশাসন। ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক সুশীলসমাজসহ পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
মন্তব্য করুন