
নারায়ণগঞ্জে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
শনিবার (০১ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে প্রায় ২২ দিনের অভিযান চালিয়ে র্যাব মামলার মূল আসামি আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক মো. জামশেদসহ ৬ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে আজমেরী ওসমানের সহযোগী কাজল হাওলাদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য দুই আসামি শাফায়েত হোসেন (শিপন) ও মামুন মিয়াকে দুই দফায় ৯ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গাড়িচালক জামশেদকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ইয়ার মোহাম্মদও কারাগারে আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কখনও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে আবার কখনও অস্ত্র বানানোর কারিগরকে নিজ এলাকায় নিয়ে এসে অস্ত্র তৈরি করে, আবার সেই অস্ত্র দিয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে সংঘর্ষে জড়ান কিছু ব্যক্তি। এমন ঘটনা ঘটছে নরসিংদীর রায়পুরায় এলাকায়।
র্যাব অধিনায়ক আরও জানান, গত কয়েক মাসে এসব সংঘর্ষে ৫ জন নিহত ও প্রায় ৫০ জনের মত আহত হয়েছেন। এছাড়াও নরসিংদীর কিছু এলাকা চরাঞ্চল হওয়া অপরাধীরা অপরাধ কর্মকাণ্ড শেষে সেখানেই পালিয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বের হয়ে স্থানীয় সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। পরবর্তীতে ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বির অভিযোগ, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশে ত্বকীকে অপহরণের পর তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শামীমের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের টর্চার সেলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়।
মন্তব্য করুন