
ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে আজ শনিবার (১ নভেম্বর) শেষ নিদ্রায় শায়িত হলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বীর সৈনিক নায়েক আকতার হোসেন। বিজিবির হেলিকপ্টারে করে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামে। এসময় গ্রামের পথে পথে মানুষের ঢল নামে তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে।
আজ সকালে সিএমএইচ থেকে বিজিবির হেলিকপ্টারযোগে তাঁর মরদেহ পৌঁছায় গ্রামের বাড়িতে। উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের প্রতিনিধি, সেনা-বিজিবি কর্মকর্তারা ও শত শত গ্রামবাসী। জানাজা শেষে সামরিক মর্যাদায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
নায়েক আকতার হোসেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বীর নম্বর ৬২১১৬। মিয়ানমার সীমান্তে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন তিনি। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিজিবি জানায়, গত ১২ অক্টোবর সকালে বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তের রেজুআমতলী এলাকার পেয়ারাবুনিয়া সীমান্তে দায়িত্ব পালনকালে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি (AA) পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে নায়েক আকতার হোসেন মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাকে রামু সেনানিবাসের সিএমএইচে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
বিজিবি জানিয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করে নায়েক আকতার হোসেন যে বীরত্ব ও ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিজিবি পরিবার তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
আকতারের বড় ছেলে মাত্র দশ বছরের, ছোট মেয়ে এখনও স্কুলে শুরু করেনি।
গ্রামের প্রবীণরা বললেন, “আকতার ছোটবেলা থেকেই সাহসী ছিল। দেশ রক্ষায় সে নিজের জীবন দিয়েও পিছপা হয়নি।”
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, নায়েক আকতার হোসেন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার সুমহান দায়িত্ব পালনকালে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁর বীরত্ব ও ত্যাগ বিজিবি পরিবারের জন্য গর্বের, জাতির জন্য অনুপ্রেরণার। বিজিবি কর্তৃপক্ষ তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন