
গাজাবাসীর জন্য ত্রাণবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব জাহাজই আটক করেছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে, যেখানে ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণের প্রতিবাদ জানানো হবে।
দলটির যুগ্মমহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েল মানবতার পরিপন্থী একটি বর্বর শক্তি, যারা কোনো আন্তর্জাতিক আইন-কানুন মানে না এবং নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মানবিক উদ্যোগকেও আক্রমণ করতে দ্বিধা করে না।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ, যেখানে ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ মানুষ অংশ নিয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের নাগরিক ছাড়াও রয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এতে যুক্ত হয়েছেন শহিদুল আলম। অথচ ইসরায়েল এ মহৎ উদ্যোগকে সশস্ত্রভাবে প্রতিহত করে ত্রাণসামগ্রী জব্দ করেছে, যা আসলে গোটা বিশ্বের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।
তিনি আরও সতর্ক করেছেন, ইসরায়েলকে এখনই প্রতিহত না করলে ভবিষ্যতে তারা ইউরোপের নাগরিকদেরও হুমকির মুখে ফেলবে। এখন ইউরোপীয় সরকারগুলোর পদক্ষেপই মূল পরীক্ষা—তারা নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে নাকি বর্বর ইসরায়েলের প্রতি নীরব থাকবে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, আমাদের নাগরিক শহিদুল আলমের নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে বৈশ্বিক মানবিক উদ্যোগে ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কণ্ঠকে আরও উচ্চকিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ফ্লোটিলা ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় মোট নৌযান ছিল ৪৪টি। ইসরায়েলের বাহিনী কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে নৌযানগুলো আটক করছে। কিছু আটক করা হয়েছে বুধবার ও বাকিগুলো বৃহস্পতিবারে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ‘সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করা বা আইনসম্মত নৌ-অবরোধ লঙ্ঘন করার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। আরেকটি জাহাজ রয়েছে। সেই জাহাজ যদি সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করে অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে, তবে সেটিকেও আটক করা হবে।’
মন্তব্য করুন